ঊনকোটি জেলা হাসপাতাল পরিদর্শন করে বিভিন্ন সমস্যা নিরসনের আশ্বাস দিলেন মন্ত্রী টিংকু রায়

অনলাইন ডেস্ক, ২১ নভেম্বর, ২০২৪: বৃহস্পতিবার কৈলাসহরের ঊনকোটি জেলা হাসপাতাল পরিদর্শন করতে যান মন্ত্রী টিংকু রায়ের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য দপ্তর ও পূর্ত দপ্তরের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। জেলা হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে সিটি স্ক্যান পরিসেবা, অক্সিজেন প্ল্যান্ট পরিষেবা এবং জেনেরিক কাউন্টার দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ হয়ে রয়েছে।

তাছাড়া জেলা হাসপাতালে প্রায় সময়েই শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকেন এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে জেলা হাসপাতালের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জেলাবাসী। তাছাড়া জেলা হাসপাতালে চিকিৎসারত রোগীদের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে এ.সি মেশিন বসানো হলেও দীর্ঘদিন ধরে জেলা হাসপাতালের এ.সি মেশিন গুলো বন্ধ হয়ে রয়েছে।

এছাড়াও জেলা হাসপাতালের সবকয়টি শৌচাগার নষ্ট হয়ে থাকায় রোগীরা সেগুলো ব্যবহার করতে পারছে না দীর্ঘদিন ধরে। গোটা জেলা হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে পানীয়জলের অভাব রয়েছে। জেলা হাসপাতালে পানীয়জলের স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা নেই। প্রায় দিনই জেলা হাসপাতালে পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না।

বিদ্যুৎ না থাকার ফলে গোটা জেলা হাসপাতালের পরিসেবা একেবারেই স্তব্ধ হয়ে যায়। বিগত এক বছর পূর্বে আই.সি.ইউ নির্মান সম্পন্ন হলেও এখন পর্যন্ত জেলা হাসপাতালের আই.সি.ইউ চালু করা হয়নি। বৃহস্পতিবার মন্ত্রী টিংকু রায়ের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য দপ্তর সহ পূর্ত দপ্তরের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে এসে প্রথমে জেলা হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিন্টেন্ডেন্ট ডক্টর রোহন পাল সহ জেলা হাসপাতালের সমস্ত চিকিৎসকদের সাথে এবং স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকদের এক বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে জেলা হাসপাতালের সমস্ত কিছু সরজমিনে পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে মন্ত্রীর সাথে ছিলেন রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরন গিত্যে, অধিকর্তা ডক্টর সঞ্জীব দেববর্মা, ঊনকোটি জেলার জেলাশাসক দিলীপ কুমার চাকমা, কৈলাসহরের মহকুমাশাসক প্রদীপ সরকার, পূর্ত দপ্তরের ঊনকোটি জেলার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রদীপ রঞ্জন দাস সহ এন.এইচ.এম এবং পূর্ত দপ্তরের রাজ্যের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। জেলা হাসপাতালে দীর্ঘক্ষন বৈঠক করার পর দিনভর জেলা হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী টিংকু সংবাদ প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে জানান, জেলা হাসপাতালের সার্বিক পরিকাঠামো খুব শীঘ্রই পরিবর্তন করা হবে।

জেলা হাসপাতালে যেসব পরিসেবা বন্ধ রয়েছে তার মধ্যে বিশেষকরে সিটি স্ক্যান পরিষেবা, অক্সিজেন প্ল্যান্ট খুব শীঘ্রই চালু করা হবে। তাছাড়া জেলা হাসপাতালে খুব শীঘ্রই বেশকিছু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাঠানো হবে। জেলা হাসপাতালের জেনেরিক মেডিসিন কাউন্টারও খুব শীঘ্রই চালু করা হবে বলে মন্ত্রী দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

Recent Posts