অনলাইন ডেস্ক, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪: শনিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যাল-এ একটি সন্ধ্যায় পোস্টে লিখেছেন পানামা যে ফি নিচ্ছে তা হাস্যকর। বিশ্ব বাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলপথ পানামা খাল ব্যবহারের জন্য মধ্য-আমেরিকার দেশ পানামা অতিরিক্ত ফি আদায় করছে বলে অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পানামা যদি খালটি গ্রহণযোগ্যভাবে পরিচালনা করতে না পারে তাহলে তিনি মার্কিন মিত্র পানামার কাছ থেকে খালটির নিয়ন্ত্রণভার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। পোস্টে তিনি সতর্ক করে বলেন, খালটিকে তিনি ‘ভুল হাতে’ পড়তে দেবেন না। খবর রয়টার্সের। ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে পানামা খাল ঘিরে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। পানামা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ভুল হাতে এই খালটি পড়তে দেবেন না। পানামা খালে পণ্যবাহী জাহাজ পরিচালনায় চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এই খালের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পানামার; চীন বা অন্য কারও নয়।
আমরা কখনই এর নিয়ন্ত্রণ ভুল কারও হাতে যেতে দেব না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত এই প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি একটি সার্বভৌম দেশকে পানামা খাল হস্তান্তর করার জন্য চাপ দিতে পারেন। রয়টার্স লিখেছে, ট্রাম্পের এই পোস্ট একটি অত্যন্ত বিরল উদাহরণ যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের একজন নেতা বলছেন তিনি একটি সার্বভৌম দেশকে ভূখণ্ড হস্তান্তর করার জন্য চাপ দিতে পারেন। তার এ মন্তব্যে ট্রাম্পের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতির একটি প্রত্যাশিত পরিবর্তন হবে, এ সম্ভাবনা আরও জোরদার হয়েছে। ইতিহাস বলে, ট্রাম্প মিত্রদের হুমকি দিতে এবং প্রতিপক্ষের সঙ্গে লেনদেন করার সময় আক্রমণাত্মক উক্তি ব্যবহার করতে দ্বিধাবোধ করেননি। খালটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রই নির্মাণ করেছিল এবং কয়েক দশক ধরে জলপথটির সংলগ্ন অঞ্চল শাসন করেছিল।
কিন্তু যৌথ প্রশাসনের একটি সময়কালের পর যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১৯৯৯ সালে খালটির নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরিভাবে পানামার কাছে হস্তান্তর করে। ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টে আরো লিখেছেন “এটি অন্যদের সুবিধার জন্য দেওয়া হয়নি, শুধুমাত্র আমাদের এবং পানামার সাথে সহযোগিতার একটি চিহ্ন হিসাবে দেওয়া হয়েছিল৷ যদি দেওয়ার এই মহৎ অঙ্গভঙ্গির নীতিগুলি, নৈতিক এবং আইনী উভয়ই অনুসরণ করা না হয়, তবে আমরা দাবি করব যে পানামা খাল সম্পূর্ণরূপে এবং প্রশ্ন ছাড়াই আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।