অনলাইন ডেস্ক, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪: ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হাতি। ঘটনা শনিবার সন্ধ্যায় তেলিয়ামুড়া মহকুমা চাকমাঘাট এলাকায়। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, “টিউমার” হাতি একটি আতঙ্কিত নাম ছিল কৃষ্ণপুর এলাকায়। মানুষের বাড়িঘরে গিয়ে ধান ফসল খেতো টিউমার হাতিটি। এটি ছিল তেলিয়ামুড়া বনদপ্তরের অধীনে যতগুলি হাতি রয়েছে তার থেকে সবচেয়ে বড় এবং স্বাস্থ্যবান হাতি। শনিবার রাতে ধর্মনগর গামি ট্রেনটি তাকে ধাক্কা দেয়, এতে হাতিটির পিছের দুটি পা ভেঙ্গে যায়।
বর্তমানে সে অচল হয়ে পড়ে আছে গভীর জঙ্গলে। আরো জানা যায়, হাতিটির নাম টিউমারের কারণ হলো তার শরীরের একটি ফোলা অংশ রয়েছে। যা টিউমারের মতো, যার জন্য তার নামটি বনদপ্তরের পক্ষ থেকে টিউমার রাখা হয়েছিল। যাতে দ্রুত চিহ্নিত করার জন্য। এর কারণেই কৃষ্ণপুর এলাকায় পরিচিত হাতির নাম এবং খুবই আতঙ্কিত হাতি এটি। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বনকর্মীরা এবং পশু চিকিৎসকের একটি প্রতিনিধি দল।
তারা লক্ষ্য করেন হাতিটির অভ্যন্তরীণ কোন গুরুতর আঘাত লক্ষ্য করা না গেলেও পেছনের দুটি পা পুরোপুরি ভেঙে গেছে। সাথে সাথেই হাতিটির চিকিৎসা শুরু করা হয়। একই সাথে হাতিটির খাবারের বন্দোবস্ত করা হয়। বনদপ্তরের এক কর্মী জানান, তারা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লক্ষ্য করে হাতিটির দুটি পা ভেঙে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সাতটার নাগাদ ধর্মনগর গ্রামে ট্রেনের ধাক্কায়। তবে এই ঘটনাটি ঘটার পেছনে পুরোপুরি ভাবে দায়ী ট্রেনের লকো পাইলট। এন এফ রেলওয়ে কে আগে থেকেই বলা ছিল তেলিয়ামুড়া থেকে মুঙ্গিয়া কামী পর্যন্ত হাতির করিডোর হওয়ায় ট্রেন যাতে ধীরে চালানো হয়।
কিন্তু এর মন্ত্রকের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে দেখা গেছে অত্যন্ত দ্রুত বেগে থাকায় ট্রেনের ধাক্কায় হাতিটি আহত হয়েছে। লোকো পাইলট যদি ট্রেন ধীরে চালাতে তাহলে এই ঘটনা সংগঠিত হতো না। তেলিয়ামুড়া মহকুমারী মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং স্বাস্থ্যবান এই টিউমার হাতি। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় রয়েছে এই হাতিটি। অভিযুক্ত ট্রেন চালক লকো পাইলটের বিরুদ্ধে রেল পুলিশের কাছে একটি মামলা করা হবে। পাশাপাশি ট্রেনের কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করে সতর্কতা জারি করা হবে।
কারণ গত ফেব্রুয়ারি মাসেও এ ধরনের একটি দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। তখনো একটি মামলা করা হয়েছিল। কিন্তু ট্রেন চালকদের গাফিলতির কারণে এভাবে ত্রিপুরার হাতির জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি। তিনি আরো জানিয়েছেন, তারা সেখানেই হাতিটির চিকিৎসা এবং খাবারের বন্দোবস্ত করবে। কিন্তু শনিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনার পর অনেকেই ব্যাথিত। দূর দুরান্ত থেকে মানুষ জঙ্গলের মধ্যে ছুটে আসে হাতিটি দেখার জন্য। তখন কেউ কেউ হাতিটির সুস্থতা কামনা করে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করতে দেখা গেছে।