কদমতলা ব্লকে ৫ দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক মেলা ও প্রদর্শনী, রাজ্যের গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র সমভাবে বিকশিত করার উপর সরকার গুরুত্ব দিয়েছে ঃ ক্রীড়ামন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক, ৩ জানুয়ারী , ২০২৫: রাজ্যভিত্তিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলি শুধুমাত্র আগরতলার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে প্রান্তিক এলাকাগুলিতেও সম্প্রসার করা হচ্ছে৷ গ্রামীণ লোকজ সংস্কৃতির বিকাশে বিভিন্ন গ্রামীণ মেলাগুলি সরকারি কালচারেল ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

গতকাল উত্তর ত্রিপুরা জেলায় কদমতলা ব্লকের বড়গোলে আয়োজিত ৫ দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক মেলা ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে এই কথাগুলি বলেন রাজ্যের যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায়। অনুষ্ঠানে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, উৎসব ও মেলা আয়োজনে সরকারি অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে। রাজ্যের গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র সমভাবে বিকশিত করার উপর সরকার গুরুত্ব দিয়েছে৷ উল্লেখ্য, উত্তর ত্রিপুরা জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি কার্যালয় ও আরাধনা সাংস্কৃতিক সংস্থার যৌথ উদ্যোগে বড়গোল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এই মেলার আয়োজন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তর ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অপর্ণা নাথ, সমাজসেবী কাজল দাস, উত্তর ত্রিপুরা জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক বিপ্লব দাস, কদমতলা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান মিহির রঞ্জন নাথ, কালাছড়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন টিংকু শর্মা, কদমতলা ব্লকের বিডিও সঞ্জীব দেবনাথ, বিভিন্ন দপ্তরের জেলাস্তরের আধিকারিক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বড়গোল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রদীপ নাথ।

অনুষ্ঠানে ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায় আরও বলেন, নেশায় আসক্ত হয়ে কতিপয় ব্যক্তি নিজের জীবনের পাশাপাশি পুরো পরিবারকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। নেশার কবল থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, সরকারিভাবে বিশ্রামগঞ্জে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি নেশামুক্তি কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। রাজ্যের প্রতিটি জেলায় একটি করে নেশামুক্তি কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে৷ এভাবে সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবেনা।

নেশার কবল থেকে সমাজকে মুক্ত করতে সবাই মিলে জন আন্দোলনে সামিল হতে হবে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কদমতলা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান মিহির রঞ্জন নাথ। মেলায় বিভিন্ন দপ্তরের উদ্যোগে ১৪টি প্রদর্শনী স্টল খোলা হয়। মেলায় রয়েছে একটি আর্ট গ্যালারি। ব্যবসায়ীরা মেলায় রকমারি জিনিসের পশরা সাজিয়ে বসেছেন৷ মেলায় রাজ্য ও বহি:রাজ্যের শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে৷ বাউল, লোকসংগীত, ধামাইল, ঝুমুর, কাঠিনৃত্য, ক্যুইজ, বিতর্ক, নাটক, কবি আসর ইত্যাদি বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে মেলায়।