অনলাইন ডেস্ক, 29 জুলাই 2024: আবারো এক ন্যাক্কারজনক ঘটনা উঠে আসলো সোনামুড়া মহকুমার শোভাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এক অসহায় স্বামী মামলা করলো স্ত্রী এবং পর পুরুষের বিরুদ্ধে।
নিজের স্বামী ও সন্তান থাকার পরেও স্ত্রী জড়িয়ে পড়লেন পার্শ্ববর্তী এলাকার এক ছেলের সঙ্গে বলে অভিযোগ স্বামীর। গৃহবধূর নাম নাম মুসেদা বেগম,বাড়ি কাঁঠালিয়া থানাধীন বাঁশপুকুর এলাকায়।
এই মহিলাকে আজ থেকে আট বছর আগে সামাজিক রীতিনীতি অনুসারে বিয়ে করেন সোনামুড়া থানাধীন শোভা পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোতালেব মিয়া নামে এক যুবক। বিয়ের পাঁচ বছর পর্যন্ত দুজনের সংসার খুব সুন্দর ভাবে চলছিল।
কিন্তু গত তিন বছরে মোতালেব মিয়ার স্ত্রী মুসেদা বেগম একই এলাকার তথা পাশাপাশি বাড়ি শারমুল হক নামে এক মাদ্রাসার ছাত্রের সঙ্গে অবৈধ প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
প্রথমত স্বামী মোতালেব মিয়ার বিশ্বাস না হলেও পরবর্তীকালে তার চাল চলন দেখে, স্বামী মোতালেব মিয়া তার স্ত্রীকে বুঝানোর অনেক চেষ্টা করেন। এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে অনেক গরোয়া সভা হয়।
কিন্তু স্বামী মোতালেব মিয়ার স্ত্রী মুসেদা বেগম তার অবৈধ প্রেমিক সারমুল হক এর সঙ্গে আবারো পরকীয়া লিপ্ত হয়ে থাকেন। গত ১৫ জুলাই স্বামীর অজান্তে, অবৈধ প্রেমিক সারমুল হক মোতালেব স্ত্রীর ঘরে রাতে পবেশ করে অবৈধ প্রেমিক সারমুল হক অসামাজিক কাজ করার সময় মোতালেব মিয়ার মা পুষ্পনাহার বিবি ধরে ফেলেন।
সেখান থেকে জোরজবস্তি করে অবৈধ প্রেমিক শারমুল হক মোতালেব এর মাকে ধাক্কা দিয়ে পুকুরে ফেলে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার খবর পুরো এলাকা জানাজানি হতে এলাকার মানুষ চেয়েছিল ঘটনাটা এলাকাতে বিচারের মধ্যে সম্পূর্ণ করবেন।
কিন্তু পরের দিন মোতালেবের স্ত্রী, তাকে তার শাশুড়ি, দেবর মারধর করেছে বলে, সোনামুড়া থানা একটি মামলা করেন। শেষ পর্যন্ত মোতালেব মিয়া তার স্ত্রী মুসেদা বেগম, তার অবৈধ প্রেমিক সারমুল হক, সাইফুল বসার, শাহাদা বেগম, আব্দুল সোবহানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।