অনলাইন ডেস্ক, ৩০ জুলাই 2024: নোটিশ জারি করে স্বাস্থ্য দপ্তরের অনিয়মিত কর্মীদের নিয়মিতকরণ প্রক্রিয়ায় তালা ঝুলিয়ে দিল রাজ্য সরকার। এবং সাফ জানিয়ে দেয় অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিত করা হবে না। গত ২৫ জুলাই এই বিষয়ে সংক্রান্ত একটি নোটিফিকেশন জারি হওয়ার পাঁচদিন পর আন্দোলনে নামলো স্বাস্থ্য দপ্তরের অনিয়মিত কর্মীরা।
রাজ্যে বর্তমানে ৯৫০ জন অনিয়মিত স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছে। তারা ডি আর ডাব্লিউ, ডি আর বি এবং কেজুয়াল কর্মী। বাম আমল থেকেই তাদের দাবি চাকরির প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বছর হয়ে গেছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ১০ বছর পর যে নিয়মিতকরণ করার নিয়ম রয়েছে সেটা যাতে সরকার গ্রহণ করে। কিন্তু পূর্বতন সরকার তাদের দাবি শুনেনি।
তারপর রাজ্যে সরকার পরিবর্তন হয় ২০১৮ সালে। কিন্তু সরকার পরিবর্তন হওয়ার ৭ বছর এর মাথায় সরকার প্রতিশ্রুতি ভুলে এক অভাবনীয় ফরমান জারি করেছে। এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার আইজিএম হাসপাতালের এম এস -র কক্ষের সামনে বিক্ষোভ দেখায় অনিয়মিত স্বাস্থ্য কর্মীরা। তাদের বক্তব্য তারা এত বছর চাকরি করার পরেও সরকার তাদের নিয়মিতকরণ করছে না।
বরং লক্ষ্য করা যাচ্ছে এডিসি অনিয়মিত কর্মীদের সরকার নিয়মিত করণ করছে। সকলে রাজ্য সরকারের অধীনে কর্মী হলেও সরকারের এ ধরনের বিভাজন নীতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারকে কাল বিলম্ব না করে ফরমান বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি তাদের দ্রুত নিয়মিতকরণ করতে হবে। না হলে তারা আগামী দিন আমরণ অনশন করে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করতেও রাজি আছে।
তাই সরকারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে দাবি জানান অনিয়মিত স্বাস্থ্যকর্মীবৃন্দের সম্পাদক রতন দেবনাথ ও তার সঙ্গপাঙ্গরা। তিনি বলেন পূবর্তন সরকারের আমলে ১০ বছর চাকরি করার পর কর্মচারীদের নিয়মিতকরণ করা হতো। কিন্তু বর্তমান সরকার তাদের নিয়মিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসলেও সেই প্রতিশ্রুতি পালন করেনি।
যার কারণে তারা হতাশাগ্রস্ত। প্রতি মাসে বহু কর্মী অনিয়মিত থেকে অবসরে চলে যাচ্ছেন। নিয়মিতকরণের সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানান তিনি। কিন্তু এদিন ভালো করে স্পষ্ট হয়েছে সরকারের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ ও বঞ্চনার কারণে সরকার থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে অনিয়মিত কর্মচারীরা। বামফ্রন্ট সরকারের আমলে তাদের জন্য বেতন বৃদ্ধি করা, ডিএ সহ বিভিন্ন সুযোগ দেওয়া হতো, কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে ২০১৮ সালে ক্ষমতায় এসে তাও বন্ধ করে দেয় বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে এই সরকারের নেতিবাচক ও কর্মচারীর স্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্তের কারণে তারা অবসরে গিয়েও পেনশন, গ্র্যাচুয়িটি জমানো ছুটিছাটা, পেনশন সবকিছু থেকেই বঞ্চিত হচ্ছে তারা। তবে এই আন্দোলন আগামী দিন কতটা লাভ করতে পারে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।