অনলাইন ডেস্ক, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪: ত্রিপুরায় প্রায় ৪২০০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ২৩ রকমের বাঁশ চাষ হয়। প্রায় ১ লক্ষ লোক বাঁশ চাষের সাথে যুক্ত রয়েছেন। ত্রিপুরায় বাঁশ শিল্প থেকে বছরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার বাণিজ্য হয়। তাই এই শিল্পের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে। শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী সান্তনা চাকমা বুধবার আগরতলায় প্রজ্ঞাভবনে ‘বিশ্ব বাঁশ দিবস’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সান্তনা চাকমা আরও বলেন, ত্রিপুরা সরকার রাজ্যে বাঁশ চাষ সম্প্রসারণ, বাঁশচাষি এবং হস্তকারু শিল্পীদের আর্থসামাজিক মান উন্নয়নে নানা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। বাঁশ চাষে সহজে আত্মনির্ভর হওয়া যায়। বাঁশভিত্তিক শিল্পকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এগিয়ে নিতে পারলে ত্রিপুরার অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হয়ে উঠবে।
তিনি শিল্পীদের উদ্দেশ্যে বলেন, নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করলেই সফলতা আসবে। উত্তর পূর্বাঞ্চল পর্ষদ, রাজ্য সরকার, নাবার্ড, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক, ন্যাশনাল ব্যাম্বো মিশন, ত্রিপুরা ব্যাম্বো মিশন ও ইন্দো-জার্মাণ প্রজেক্টের মাধ্যমে বাঁশ চাষিদের বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করা হবে।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরা ব্যাম্বো মিশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এবছর বিশ্ব বাঁশ দিবসের মূল ভাবনা হলো ‘নেক্সট জেনারেশন ব্যাম্বো: সলিউশন, ইনোভেশন এন্ড ডিজাইন’। অনুষ্ঠান শেষে শিল্প বাণিজ্য মন্ত্রী সহ অতিথিগণ রোলম্যাট তৈরীর কারিগর জোৎস্না দেবনাথ সহ মোট ১৮ জন গ্রামীণ শিল্পীকে উত্তরীয় ও মেমেন্টো দিয়ে পুরস্কৃত করেন।