অনলাইন ডেস্ক ০৫ নভেম্বর, ২০২৪: বিগত ২,০০০ বছর ধরে ভারতীয় উপমহাদেশে মানব ইতিহাস রচনায় জলবায়ু নিয়ন্ত্রিত চাষাবাসের পরিবর্তন এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে এসেছে। এই নতুন সমীক্ষায় গঙ্গা অববাহিকা অঞ্চলে চাষবাসের প্রকৃতিগত পরিবর্তন ধরা পড়েছে। এই গবেষণার মাধ্যমে অতীতে জলবায়ুর পরিবর্তন চাষবাসকে কিভাবে প্রভাবিত করেছিল তার ভিত্তিতে ভবিষ্যৎ চাষবাসের ওপর কি প্রভাব পড়তে পারে তার এক সম্যক চিত্র ফুটে উঠেছে।
বিএসআইপি, যা স্বশাসিত সংস্থা ডিএসটি-র অন্তর্গত, সেখানকার বিজ্ঞানীরা ভারতীয় গ্রীষ্মকালীন বৃষ্টিপাতের সঙ্গে চাষাবাসের সম্পর্ক নিয়ে জলবায়ু সংক্রান্ত বিজ্ঞানের সূত্র ধরে অতীতে জলবায়ু পরিবর্তনের ধারার একটি মূল্যায়ন করেছেন। উত্তরপ্রদেশের বারাণসী জেলায় সরসাপুখরা লেক থেকে মাটিতে পড়ে থাকা ফুলের পরাগের গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিগত ২,০০০ বছরে ভারতীয় গ্রীষ্মকালীন বৃষ্টিপাত, যা সময়ে সময়ে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে, সেই সূত্র ধরে ভারতীয় ইতিহাসে তার প্রভাবকে তুলে ধরে তাঁরা একটি মডেল নির্মাণ করেন।
এর থেকে তাঁরা দেখেছেন যে পরিবর্তিত উষ্ণ ও শীতল পর্ব গাছপালার প্রকৃতিগত পরিবর্তনে প্রভাব ফেলেছে যা মানুষের স্থানান্তরণের কারণ হিসেবে দেখা দেয়। এই প্রকৃতিগত প্রভাবই গুপ্ত, গুর্জর, প্রতিহার এবং চোল সাম্রাজ্যের মতো ভারতীয় উল্লেখযোগ্য সাম্রাজ্যগুলির পতনের কারণ হয়ে ওঠে। ক্যাটেনা সাময়িকপত্রে এই সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে।
পরিবর্তিত জলবায়ুর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে উপযুক্ত শস্য নির্বাচনের ফলে চাষবাসের একটি পদ্ধতিকে মানুষ উপযুক্ত বলে গ্রহণ করেছে, যার মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা রক্ষা করা গেছে এবং কালক্রমে যা জিডিপি-র ক্ষেত্রে সুনিশ্চিতয়তা প্রদান করেছে। এর থেকে সিদ্ধান্তে যায় যে খাদ্য সুরক্ষা এবং ভবিষ্যতের আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষার ক্ষেত্রে কৃষিকাজের ওপর জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব নিরসনে সক্ষম পদক্ষেপ সব সময় এক নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে পারে।
PIB