অনলাইন ডেস্ক, ১৬ নভেম্বর, ২০২৪: রাজ্য সরকার জাতি-জনজাতি সহ সকল অংশের জনগণের আর্থসামাজিক মানোন্নয়নের জন্য কাজ করছে। রাজ্যের চা শ্রমিকরা শতাধিক বছর ধরে ত্রিপুরায় বসবাস করছেন। তাদের নিজস্ব জমি, ঘর, রেশন কার্ড ছিলনা। বর্তমান রাজ্য সরকার তাদের জমির পাট্টা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে ঘর পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায় গতকাল কৈলাসহর মহকুমার গোলকপুর টি ই হাই স্কুল প্রাঙ্গনে রাজ্য ভিত্তিক ভগবান বিরসা মুন্ডার জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায় ভগবান বিরসা মুন্ডার জীবন দর্শন ও সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিরসা মুন্ডার আদর্শকে জাতীয় স্তরে প্রচারের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। বিরসা মুন্ডা আদিবাসী জনজাতিদের শ্রেষ্ঠ নেতা ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ক্রীড়ামন্ত্রী বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের স্টল পরিদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চন্ডীপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সম্পা দাস পাল, কৈলাসহর মহকুমার মহকুমাশাসক প্রদীপ সরকার, চন্ডীপুর ব্লকের বিডিও প্রসেনজিৎ মালাকার, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সহ অধিকর্তা বিশ্বজিৎ দেব প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন ঊনকোটি জিলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঊনকোটি জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক অর্ঘ্য সাহা।
অনুষ্ঠানে সাধনা স্ব-সহায়ক দল, নাইথক স্ব-সহায়ক দল সহ মোট ৪টি স্বসহায়ক দলকে ১৬ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। তাছাড়া দুই জন সুবিধাভোগীকে মৎস্য দপ্তর থেকে কনি জাল দেওয়া হয়৷ অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিগণ ভগবান বিরসা মুন্ডার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর, জনজাতি কল্যাণ দপ্তর ও চন্ডীপুর ব্লক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত শিল্পীরা সংগীত, লোক নৃত্য, লোকগীতি ইত্যাদি পরিবেশন করেন।