অনলাইন ডেস্ক, ২২ নভেম্বর, ২০২৪: সম্প্রতি ‘টি এন জি সি এল’ সি এন জি এবং পাইপলাইন গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। শুক্রবার এস ইউ সি আই (সি)-এর উদ্যোগে বটতলায় এক বিক্ষোভ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ সভায় উপস্থিত সংগঠনের অফিস সম্পাদক সঞ্জয় চৌধুরী বক্তব্য রেখে বলেন, রোজগারহীনতা, মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষ যখন দিশেহারা, তখন বিদ্যুৎ ও লাইন গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করেছে। সি এন জি গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে সি এন জি চালিত পরিবহণের ভাড়া বৃদ্ধির সম্ভাবনাও রয়েছে।
এমনকি বেকারিতে উৎপাদিত সামগ্রীর দামও বৃদ্ধি করা হয়েছে। রাজ্য সরকার এইসব বিষয়ে কর্ণপাত করছে না। পরে এই সভা থেকে এক প্রতিনিধি দল খেজুরবাগান স্থিত টি এন জি সি এল-এর অফিসে সংস্থার ম্যানেজিং ডাইরেক্টরের নিকট পাইপলাইন গ্যাসের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার সহ তিন দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করে। অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ করা যাচ্ছে যে রাজ্যের সি এন জি এবং পাইপলাইন গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থা ক্রমাহয়ে গ্যাসের দাম বাড়িয়েই চলছে।
এই গ্যাস ত্রিপুরার মাটির নিচ থেকেই উত্তোলিত হয়। অতএব তার উৎপাদন মূল্য আমদানিকৃত গ্যাসের চেয়ে অনেক কম হওয়ার কথা। এই সংস্থা সরকার অধিকৃত ও নিয়ন্ত্রিত সংস্থা। কোন বেসরকারী সংস্থা নয়। তাছাড়া নির্ধারিত মূল্যের সাথে যুক্ত হচ্ছে ভ্যাট এবং সেস। তিনি আরো বলেন, অর্থনেতিকভাবে অনুন্নত রাজ্য ত্রিপুরার জনসাধারণ এমনিতেই রোজগারহীনতা, মূল্যবৃদ্ধি সহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। এমতাবস্থায় সি এন জি এবং পাইপলাইন গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি জনগণকে আরও বিপাকে ফেলবে। তাতে সি এন জি চালিত যানবাহনের ভাড়া বৃদ্ধির সম্ভাবনাও দেখা দেবে।
এমতাবস্থায় এস ইউ সি আই (সি) দাবি জানাচ্ছে সিএনজি এবং পিএনজি -র মূল্যবৃদ্ধি অবিলম্বে প্রত্যাহার করার জন্য। দাবিগুলি মূলত, অবিলম্বে সি এন জি এবং পাইপলাইন গ্যাসের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করা, সি এন জি ও পাইপলাইন গ্যাসের উপর থেকে ভ্যাট ও সেস হ্রাস করা, বর্ধিত বিদ্যুৎ মাশুল প্রত্যাহার করা, গ্রাহক স্বার্থ বিরোধী প্রিপেইড স্মার্ট মিটার বসানো বন্ধ করা এবং বেকারিতে তৈরি খাদ্য সামগ্রী মূল্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করার।