তীর্থমুখ পৌষ সংক্রান্তি মেলার উদ্বোধন, রাজ্যের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির পরম্পরা রক্ষায় সরকার আন্তরিক : জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৪: রাজ্যের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির পরম্পরা রক্ষায় সরকার আন্তরিক। রাজ্যের ঐতিহ্যময় স্থানগুলিকে কেন্দ্র করে আয়োজিত মেলা ও উৎসবে সরকার সবসময় সহযোগিতা করে৷ পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে তীর্থমুখ মেলাও তার ব্যতিক্রম নয়। গতকাল তীর্থমুখ মেলার উদ্বোধন করে জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা একথা বলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী আরও বলেন, তীর্থমুখ মেলাকে আকষর্ণীয় করে তোলার লক্ষ্যে জনজাতি কল্যাণ দপ্তর বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। গোমতীর উৎস তীর্থমুখ রাজ্যের অন্যতম পবিত্র স্থান। প্রতিবছর পৌষ সংক্রান্তিতে তীর্থমুখ মেলায় জাতি-জনজাতি অংশের মানুষের সমাগম হয়। তিনি বলেন, মানুষের সমাগমে তীর্থমুখ মেলা হয়ে উঠে মিলন মেলা৷ তীর্থমুখকে কেন্দ্র করে এখানকার পরিকাঠামো উন্নয়নেও সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে।

এখানে রেস্ট হাউস, মোবাইল সংযোগ ও বিদ্যুৎ সংযোগ সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে সমবায় মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া বলেন, তীর্থমুখ মেলাকে সফল করে তুলতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে৷ পুণ্যার্থীদের যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেজন্য অস্থায়ী শেড নির্মাণ করা হয়েছে। বিধায়ক সঞ্জয় মানিক ত্রিপুরা বলেন, মেলা ও উৎসব সকল অংশের মানুষের মিলন ক্ষেত্র৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন করবুক বিএসি’র ভাইস চেয়ারম্যান প্রণব ত্রিপুরা।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন গোমতী জেলার জেলাশাসক ও সমাহর্তা তড়িৎকান্তি চাকমা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিআইজি সাউদার্ণ রেঞ্জ এম আই ডায়ানোবা, জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা সুভাশিস দাস, গোমতী জেলার অতিরিক্ত মহকুমা শাসক বিনয় ভূষণ দাস, করবুক মহকুমার মহকুমা শাসক, শ্যামজয় জমাতিয়া প্ৰমুখ। মেলা উপলক্ষে সাংস্কৃতিক মঞ্চে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের পক্ষ থেকে সারা রাতব্যাপী মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন দপ্তরের প্রদর্শনী মন্ডপও খোলা হয়েছিল।

Recent Posts