অনলাইন ডেস্ক, ২৬ নভেম্বর,২০২৪: ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রদান করা, চারটি শ্রমকোড বাতিল করা, রেগার মজুরি ৬০০ টাকা করা, দ্রব্যমূল্য হ্রাস করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করা সহ ১২ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন সমূহ এবং সংযুক্ত কিষান মোর্চার পক্ষ থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল সংঘটিত করা হয় আগরতলা শহরে। মিছিলটি রাজধানীর ওরিয়েন্ট চৌমুহনি থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে।
উপস্থিত ছিলেন সারা ভারত কৃষক সভা রাজ্য কমিটির সম্পাদক পবিত্র কর। তিনি বলেন, ২০২২ সালের ২৬ নভেম্বর দেশের শ্রমিকরা ধর্মঘটের ডাক দেয়। কারণ সে সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার চারটি শ্রম কোড শ্রমিকদের বিরুদ্ধে চালু করার চেষ্টা করেছিল। একই সাথে তিনটি কালো কৃষি আইন সামনে এনেছিল সরকার। তারপর কৃষক ও শ্রমিকরা দিল্লি চলো অভিযানে শামিল হয়। কৃষকদের সমস্যা সমাধানের জন্য একবারও প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সামনে আসেন নি।
পরবর্তী সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুরু নানকের জন্মদিনে রেডিও এবং টিভির বক্তব্য রেখে বলেন কৃষকরা উঠে যান। এই তিনটি কৃষি আইন অবশ্যই বাতিল করা হবে। সংযুক্ত কিসের মোর্চা প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছিল। পরবর্তী সময় পার্লামেন্টে এ আইন বাতিল হলেও আন্দোলনের অপূর্ণ দাবি ফসলের পঞ্চাশ শতাংশ মূল্য দেওয়া, স্মার্ট মিটার বসানো বন্ধ করা, আন্দোলনরত প্রয়াত কৃষকদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা এবং পরিবারের একজনকে সরকার চাকরি দেওয়ার দাবি করা হয়েছিল।
অপরদিকে কৃষকদের উপর যে মামলা হয়েছিল সে মামলাগুলো তুলে নেওয়া দাবি করার পাশাপাশি রেগা মজুরি বৃদ্ধি করা এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সহ একাধিক দাবি করা হয়েছিল সরকারের কাছে। কিন্তু সরকার তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দাবি পূরণ করছে না। এ কারণে ২৬ নভেম্বর কৃষক ও শ্রমিক আন্দোলনের চতুর্থ দিবস উপলক্ষে এবং সরকার প্রতিশ্রুতি পালন না করায় সারাদেশে চেতাগ্নি জমায়েত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্য এই কর্মসূচি বিভিন্ন মহকুমায় অনুষ্ঠিত করা হচ্ছে বলে জানান।