সূর্য ঘর প্রকল্প নিয়ে পুর নিগমের মেয়র ও কর্পোরেটরদের সাথে বৈঠক করলেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪: মাটির নিচে কয়লা ও গ্যাস একদিন শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু সৌরশক্তি কখনো শেষ হবে না। আগামী দিন সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে ঘরে বিদ্যুতিক কখজকর্ম করা যায় সেদিকে গুরুত্ব দিয়ে সূর্য ঘর প্রকল্প সামনে নিয়ে এসেছে সরকার।

বুধবার প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর যোজনা নিয়ে পুর নিগমের কর্পোরেটরদের সাথে বৈঠক করলেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ। বৈঠকে তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর মুফত বিজলি যোজনা যাতে প্রতিটি ঘরে ঘরে বিল শূন্য হয়ে আলো দিতে পারে, ঠিক হয়েছে, প্রথমে পুর নিগমের মেয়র ,ডেপুটি মেয়র সহ মেয়র পরিষদগন এবং অন্যান্য কর্পোরেটরগন তাদের বাড়িতে এই যোজনায় সোলার প্যানেল বসাবেন । যাতে করে সাধারণ মানুষ উৎসাহ পেতে পারেন।

আমাদের লক্ষ্য, প্রতিটি ঘরে এই যোজনা পৌঁছে দেওয়া । বিদ্যুৎ নিগমের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রতিটি নাগরিককে প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর মুফত বিজলী যোজনার সুবিধা নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর যোজনার মূল উদ্দেশ্য হল গ্রাম পঞ্চায়েত, পুর নিগম ও পুরপরিষদ গুলিকে সৌরশক্তি ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করা। এইদিনের বৈঠকে মন্ত্রী রতন লাল নাথ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, ডেপুটি মেয়র মনিকা দাস দত্ত সহ অন্যান্যরা।

বৈঠকে আলোচনা করতে গিয়ে মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর যোজনা সম্পর্কে কর্পোরেটরদের বুঝা দরকার। আগামিদিনে মাটির নিচের গ্যাস কয়লা শেষ হয়ে যাবে। তখন বাতাস থেকে উৎপাদিত বাতাসের উপর নির্ভর করতে হবে। কিন্তু বাতাস বেশি থাকে সমুদ্র সৈকতে। ত্রিপুরা রাজ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বাতাস নেই। তাই পিএম সূর্যঘর বিজলী যোজনা নামে একটি প্রকল্প ঘোষণা করেছে সরকার। মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য এই প্রকল্পে সাবসিডির ব্যবস্থা রয়েছে। এই প্রকল্প থেকে মানুষ কি ভাবে সুবিধা পেতে পারে সেই বিষয়ে তুলে ধরেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ।

Recent Posts