৪৩তম আগরতলা বইমেলার দ্বিতীয় দিন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কবি সম্মেলন ও নতুন বই প্রকাশ

অনলাইন ডেস্ক, ৩ জানুয়ারী , ২০২৫: তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে আয়োজিত ৪৩তম আগরতলা বইমেলার আজ ছিল দ্বিতীয় দিন। বইমেলা উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবছরও প্রতিদিন আয়োজিত হচ্ছে কবি সম্মেলন, আলোচনাচক্র, নতুন বই প্রকাশনা এবং রাজ্যের বিভিন্ন বিশিষ্ট শিল্পীদের পরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আজ দ্বিতীয় দিনে বইমেলার কবি সম্মেলনে রাজ্যের ঊনকোটি, উত্তর ও পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার ৪৬ জন কবি স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন।

বইমেলা প্রাঙ্গণে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় আলোচনাচক্র। আলোচনাচক্রের বিষয় ছিল — সার্ধশতবর্ষে বন্দে মাতরম’। আলোচনাচক্রে আলোচনায় অংশ নেন কলকাতার বিশিষ্ট লেখক জয়দ্বিপ চট্টোপাধ্যায়, ড. মৌসুমী পাল ও অভিজৎ দেব৷ বইমেলার দ্বিতীয় দিনে আজ সন্ধ্যায় শান্তি কালী মহারাজ মঞ্চে ড়, সুরজিৎ সিনহা মণিপুরী নৃত্য, আমন খান, রনিতা দে ও সারথি কলই এর মতো উদীয়মান শিল্পীগণ শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশন করেন।

দক্ষিণী সাংস্কৃতিক সংস্থার বাচিক শিল্পীগণ সমবেত আবৃত্তি পরিবেশন করেন। ১০ জন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী একক সংগীত পরিবেশন করেন। এছাড়া সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন সুরঙ্গিনা ও সুরলোক সাংস্কৃতিক সংস্থার শিল্পীগণ। সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন প্রবাহ ডান্স একাডেমী ও অনয় একাডেমীর শিল্পীগণ। জনজাতি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে রিকারি হুকুমু বদলের শিল্পীগণ লেবাং নৃত্য পরিবেশন করেন। বাঁশীবাদনে অংশ নেন কৃপাসিন্ধু জমাতিয়া।

আজ বইমেলার দ্বিতীয় দিনে নতুন বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে আজ জ্ঞান বিচিত্রা বুক ওয়ার্ল্ডের পক্ষ থেকে ১৪টি নতুন বইয়ের আবরণ উন্মোচন করা হয়। বইগুলির মধ্যে শুভাশিস চৌধুরীর ‘চকোলেট পার্ক” থেকে ‘স্কুবা ডাইভিং’ এবং বিশ্বজিৎ বন্ধোপাধ্যায়ের লেখা ‘হরিণ শিশু’ এবং ‘অন্যন্য গল্প’ এই দুটি প্রকাশ করেন বিশিষ্ট সমাজসেবী পাঞ্চালী ভট্টাচার্য।

মিহির রঞ্জন দত্ত মজুমদারের ‘পরিবহণের ক্রমবিকাশ ও পরিবেশ বান্ধব যান’ অশোক ভট্টাচার্যের ‘বিষ্ময়ে হেরি বিশ্বকে’, সুদীপ্ত শেখর পালের ‘ভূ-গোলের অন্দরে’ শিশির মল্লিকের ‘অচেনা জগৎ না জানা যায়’ এবং অশোক ভট্টাচার্যের ‘অশান্ত পৃথিবী’এই ৫টি নতুন বই প্রকাশ করেন এমবিবি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক সুমন্ত চক্রবর্তী। কাবেরী বিশ্বাসের ‘পৃথিবীর বুকে টলমল করছে আমাদের অস্তিত্ব’ এবং সুবোধ ভট্টাচার্যের লেখা ‘স্মৃতিতে উজ্জ্বল নানা ঘটনা’ এই দুটি বই প্রকাশ করেন স্বামী বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা সুতপা দাস। পুষ্পক পালের লেখা ‘প্রতিবন্ধকতার কথা’ এই বইটি প্রকাশ করেন মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা রত্নাবলী রায় সেনগুপ্ত।

মাখনলাল দাসের লেখা ‘আমার জীবনের ধারাপাত ও অতীত থেকে বর্তমান’ এই দুটি বইয়ের আবরণ উন্মোচন করেন বিশিষ্ট নাট্যকার সুভাষ দস। মো: ইউসুফ আলমের ‘অপ্রকাশিত অরিন্দম’ ও প্রবাল বর্মণের লেখা ‘শ্রী রাজমালা : কাব্য থেকে কাহিনী’ এই দুটি বইয়ের আবরণ উন্মোচন করেন ওড়িশ্যা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভাশিস তলাপাত্র৷ অন্যদিকে আগরতলার স্বাগতম প্ৰকাশনা থেকে চিরেন্দ্র ভৌমিক তার নিজের লেখা ‘কবিতা মঞ্জুরী” এই বইটির আবরণ উন্মোচন করেন।