আগরতলা বইমেলার ষষ্ঠ দিনে নতুন বই, প্রকাশ, আলোচনাচক্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

অনলাইন ডেস্ক, ০৭ জানুয়ারী, ২০২৪: ৪৩তম আগরতলা বইমেলার আজ ছিল ষষ্ঠ দিন। ষষ্ঠ দিনের বইমেলা প্রাঙ্গণের দ্বিতীয় মুক্ত মঞ্চে প্রথম পর্বে আজ বিকালে অনুষ্ঠিত হয় কবি সম্মেলন। কবি সম্মেলনে আজ সিপাহীজলা, গোমতী ও পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার ৬১ জন কবি স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। সন্ধ্যায় এই মঞ্চে ‘সর্বেষাং শান্তির্ভবতু’ এই প্রসঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনাচক্র।

আলোচনায় অংশ নেন ধলেশ্বর রামকৃষ্ণ মিশনের সচিব মহারাজ অমর্ত্যানন্দ ও আগরতলা ইসকন মিশনের মহারাজ শ্রী শ্রী ভক্তি বিজয় ভাগবত স্বামী। আলোচনাচক্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক টিআরবিটি’র চেয়ারম্যান ড. প্রত্যুষ রঞ্জন দেব৷ এই মঞ্চে আয়োজিত হয় ‘ইনটারেকশন উইদ অডিয়েন্স অন মেমরি ডেভালপমেন্ট’ প্রোগ্রাম৷ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব নেচারেল সায়েন্স এর ড. যমুনা দেবনাথ ও অনিমেষ মজুমদার। এই মঞ্চে আজ সর্বশেষ উপস্থাপনা ছিল নতুন বই প্রকাশ অনুষ্ঠান।

আজ দিগন্ত প্রকাশনীর পক্ষ থেকে ২৩টি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। লিটল ম্যাগাজিন ‘শব্দ সাঁকোর তৃতীয় সংখ্যার মলাট উন্মোচনের মধ্য দিয়ে এই বই প্রকাশ অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। ‘শব্দ সাঁকো’ এই লিটল ম্যাগাজিনটির সম্পাদিকা গোপা রায়। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট কবি ও শিক্ষাবিদ আশিষ কুমার বৈদ্য এই ম্যাগাজিনটির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। ‘শব্দ সাঁকো’ কমিটির সকল সদস্য-সদস্যাগণ যৌথভাবে এই ম্যাগাজিনটির মলাট উন্মোচন করেন।

এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টিআরবিটি’র চেয়ারম্যান ড. প্রত্যুষ রঞ্জন দেব, বিশিষ্ট কবি নকুল রায়, কবি শৈলেন্দ্র দাস, কবি মিতালী দে, শিক্ষাবিদ মনোরঞ্জন গোপ, কবি ও শিক্ষাবিদ নকুল দাস, কবি ও গল্পকার গোপাল বিশ্বাস, লেখক ও সমাজসেবী শিবানী ভট্টাচার্য, কবি ও বাচিক শিল্পী পরিমল কর্মকার এবং কবি ও শিক্ষাবিদ শংকর সাহা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল অতিথিগণ একে একে দিগন্ত প্রকাশনীর ২২টি নতুন বইয়ের মলাট উন্মোচন করেন এবং বইগুলির বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন।

অন্যদিকে বইমেলা প্রাঙ্গণের ১নং মঞ্চের মহাবীর মঞ্চে আজ অনুষ্ঠিত হয় গোমতী জেলার শিল্পী ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থার পরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জেলার কৃষ্ণধন লোধ ও সৌমেন দেবের শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে তাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। ৩ জন উদীয়মান শিল্পী একক সংগীত পরিবেশন করেন। শ্রুতিকৃতি আবৃত্তি স্কুলের বাচিক শিল্পীগণ সমবেত আবৃত্তি এবং পৌলমী রায় ও দেবস্মিতা দেবনাথ পঞ্চকবির সংগীত পরিবেশন করেন।

জেলার জনজাতির অনুষ্ঠানে৩ জন জনজাতি শিল্পী জনজাতি একক সংগীত পরিবেশন করেন। সালফা কলাকেন্দ্র সমবেত জনজাতি লোকসংগীত এবং খুপুই ডান্স একাডেমীর শিল্পীগণ সমবেত জনজাতি লোকনৃত্য পরিবেশন করেন। এছাড়াও জেলার সবিরি গ্রুপ, সুরসঙ্গম সঙ্গীতালয়ের শিল্পীগণ সমবেত সংগীত এবং রঙ্গনৃত্য ডান্স একাডেমী ও মঞ্জুশী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির শিল্পীগণ সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন। আজকের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সর্বশেষে বিশিষ্ট যন্ত্রশিল্পী অমরনাথ বণিক, আলিশা চক্রবর্তী ও রাকেশ কিশোর দেববর্মণ অংশ নেন।