প্রিবোর্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করে পর্ষদ পরীক্ষায় বসার সুযোগ করে দিতে বিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলাল ছাত্র ছাত্রীরা

অনলাইন ডেস্ক, ০৭ জানুয়ারী, ২০২৪: যতনবাড়ি এলাকায় অবস্থিত এক-যতন কুমার উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের প্রিবোর্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করে পর্ষদ পরীক্ষায় বসার সুযোগ করে দিতে বিদ্যালয়ের উপর চাপ সৃষ্টি করছে বেশ কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক। অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রীদের দাবি তাদের উত্তীর্ণ করে দিতে হবে। নাহলে আন্দোলন কোনভাবেই প্রত্যাহার করবে না।

জানা যায়, বিদ্যালয়ে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীতে যথাক্রমে ৫২ জন ও ৪১ জন এবছর প্রিবোর্ড পরীক্ষায় বসে। কিন্তু খাতা মূল্যায়নের পর দেখা যায় দশম ও দ্বাদশ শ্রেণী মিলিয়ে ৫-৬ জন উত্তীর্ণ হচ্ছে। এই খবর অভিভাবকদের নিকট জানাজানি হতেই অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রীদের পাস করিয়ে দেওয়ার জন্য আন্দোলন শুরু করে। ছাত্র-ছাত্রীদের অনৈতিক দাবিকে সমর্থন জানাতে বিদ্যালয়ে গিয়ে হাজির হয় শাসকদলের কিছু চুনোপুটি নেতা।

এস এম সি কমিটির সিদ্ধান্তকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের প্রিবোর্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করার জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করে শাসকদলের ওই মাতব্বররা। অবশেষে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চাপে পড়ে সিদ্ধান্ত নেয় যে অকৃতকার্য ছাত্র-ছাত্রীদের দুটি পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হবে। এবং তাদের জন্য পাশ নম্বর কুড়ি করে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, প্রিবোর্ড পরীক্ষায় কিছু ছাত্র-ছাত্রী পাস করতে পারেনি।

তারা বিদ্যালয়ের মূল ফটকে তারা দিয়ে দাবি করেছিল সকলকে উত্তীর্ণ করার। শেষ পর্যন্ত বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটি, অভিভাবক এবং শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। বৈঠকে চূড়ান্ত হয় পুনরায় দুটি বিষয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। তাদের জন্য পাশ নম্বর রাখা হয়েছে কুড়ি। তাহলে তাদের বোর্ড পরীক্ষার জন্য ফর্ম পূরণ করার সুযোগ দেওয়া হবে। তিনি আরো দায়ী করলেন সোশ্যাল মিডিয়াকে।

সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের এ ধরনের ফলাফল বলে জানান। এমন শিক্ষা ব্যবস্থা ভূ-ভারতে হয়তো নেই। এক যতন কুমার উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের এমন হতাশা জনক ফলাফল দেখে হতবাক এলাকার বুদ্ধিজীবী মহল। কারণ বিদ্যালয় থেকে জোর জবরদস্তি উত্তীর্ণ হতে পারলেও বোর্ড পরীক্ষায় তাদের কে সহযোগিতা করবে?