বিজ্ঞানসম্মত উপারে মাছ চাষ খুবই লাভজনক : মৎস্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক, ৯ জানুয়ারী, ২০২৫: মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তর গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ এবং কৃষকদের রোজগার বৃদ্ধির জন্য কাজ করে চলেছে৷ বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার সবসময় কৃষকদের পাশে রয়েছে। কাঞ্চনবাড়ি কমিউনিটি হল প্রাঙ্গণে আজ উনকোটি জেলাভিত্তিক মৎস্য উৎসব-২০২৫-এর উদ্বোধন করে একথা বলেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ বিকাশমন্ত্রী সুধাংশু দাস৷ এবছরই প্রথম জেলাভিত্তিক মৎস্য উৎসব শুরু হয়েছে।

অনুষ্ঠানে মৎস্যমন্ত্রী সুধাংশু দাস বলেন, রাজ্যে প্রায় ৯৮ শতাংশ মানুষ মাছ খান৷ স্বভাবতই মাছের চাহিদাও রয়েছে প্রচুর৷ রাজ্যে মাছের উৎপাদন হয় বছরে ৮৫ মেট্রিকটন। এখনও ঘাটতি রয়েছে প্রায় ৩১ মেট্রিকটনের কিছু বেশি। তিনি বলেন, বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে মাছচাষ করলে যে কেউ এর থেকে লাভবান হতে পারেন৷ মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি ও চাষিদের রোজগার বৃদ্ধির জন্য গ্রামস্তরে মৎস্যচাষিদের উৎসাহিত করতে জেলাস্তরে মৎস্য উৎসব করা হচ্ছে। গ্রামীণ অর্থনীতিকে মজবুত করতে মৎস্যচাষ, প্রাণীসম্পদ বিকাশের কাজে আরও বেশি করে উদ্যোগীদের এগিয়ে আসতে তিনি আহ্বান জানান৷

তিনি বলেন, সম্প্রতি বন্যায় যে সমস্ত মৎস্যচাষি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের কানি প্রতি ৬ হাজার ৮০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া পুকুর সংস্কারের জন্য আরও ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে৷ তার সাথে জল পরিষ্কার, মাছের পোনা, মাছের খাদ্য, বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে মাছ চাষের জন্য প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, কেউ যদি মৎস্য হ্যাচারি করতে চায় তারজন্য রাজ্য সরকার ৬০ শতাংশ ভর্তুকি দেবে।

অনুষ্ঠানে উনকোটি জিলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস বলেন, মাছের চাহিদার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধি করার জন্য তিনি মৎস্য চাষিদের আরও বেশি করে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান অনুষ্ঠানে মৎস্য দপ্তরের সচিব দীপা ডি নায়ার বলেন, রাজ্যের অর্থনীতিতে মৎস্য চাষের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে৷ উনকোটি জেলার জেলাশাসক দিলীপ কুমার চাকমা বলেন, বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে মাছ চাষ করে মৎস্যচাষিদের অধিক লাভবান হওয়ারও সুযোগ রয়েছে। এজন্য দপ্তরের সহযোগিতা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে যেতে তিনি অনুরোধ জানান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মৎস্য দপ্তরের অধিকর্তা সন্তোষ দাস৷ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কাঞ্চনবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেলী ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুমারঘাট পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সুমতি দাস, কুমারঘাট মহকুমা শাসক এন এস চাকমা ও মৎস্য দপ্তরের উপঅধিকর্তা তরিন্দ্র দেববর্মা। অনুষ্ঠান মঞ্চে অতিথিগণ জেলার প্রোগ্রেসিভ ফিস ফার্মারদের সংবর্ধিত করেন। এছাড়া কয়েকজন মৎস্যচাষির হাতে মাছ ধরার জাল, আইস বক্স, মাছ বিক্রয়ের জন্য দ্বিচক্র যান প্রদান করেন৷ জেলাভিত্তিক মৎস্য উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দপ্তর এবং স্বসহায়ক দলের স্টলও খোলা হয়েছে।