২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের টিএফটিআই’র বিভিন্ন কোর্সের সমাপ্তিতে ছাত্রছাত্রীদের শংসাপত্র ত্রিপুরা ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট রাজ্যের একটি গর্বের প্রতিষ্ঠান : মুখ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক,২৯ অক্টোবর, ২০২৪: ত্রিপুরা ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট রাজ্যের একটি গর্বের প্রতিষ্ঠান। রাজ্যে এ ধরনের একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপন হবে তা কেউ কল্পনাও করেনি। রাজ্য সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এবং সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় এ ধরনের প্রতিষ্ঠান রাজ্যে গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে।

আজ নজরুল কলাক্ষেত্রে ২০২৩- ২৪ শিক্ষাবর্ষের ত্রিপুরা ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের (টিএফটিআই) বিভিন্ন কোর্সের সমাপ্তিতে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে শংসাপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে টিএফটিআই-র স্ক্রিন অ্যাক্টিং, স্ক্রিপ্ট রাইটিং এবং ডিজিটাল এডিটিং এই তিনটি কোর্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৫৩ জন ছাত্রছাত্রীকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বলেন, জাতি জনজাতি গোষ্ঠীর মিশ্র সংস্কৃতির রাজ্যে প্রতিভার কোনও অভাব নেই। ত্রিপুরা ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ছেলেমেয়েরাও রাজ্যের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও পরম্পরাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। রাজ্যের ছেলেমেয়েদের ভেতর থেকে সুপ্ত প্রতিভাকে বের করার জন্য সত্যজিত রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট থেকে আগত ফ্যাকাল্টিগণ যে কাজ করছেন তারজন্য মুখ্যমন্ত্রী তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে বর্তমানে ৭টি শর্ট কোর্স চালু রয়েছে। আগামীদিনে দীর্ঘমেয়াদি কোর্স সহ এখানে ডিপ্লোমা বা ডিগ্রি কোর্স চালু করার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। এক কথায় এই ইনস্টিটিউটকে পূর্ণাঙ্গরূপে গড়ে তোলার প্রয়াস নেওয়া হবে।

এই ইনস্টিটিউটে বিভিন্ন কোর্সের ফি রাজ্য সরকারই ৯০ শতাংশ বহন করে থাকে যা শিক্ষার্থীদের জন্য একটা ভালো দিক। অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, গত 2022 সালের ২৮ নভেম্বর থেকে ত্রিপুরা ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট যাত্রা শুরু করে।

কলকাতাস্থিত সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধানে এখানে বর্তমানে ৭টি স্বল্পমেয়াদি কোর্স চালু রয়েছে। কোর্সগুলি হলো স্ক্রিন অ্যাক্টিং, ফিল্ম অ্যাপ্রেসিয়েশন, প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট, নিউজ অ্যাঙ্করিং ও রিপোর্টিং, স্ক্রিপ্ট রাইটিং, ডিজিটাল এডিটিং এবং সাউন্ড রেকর্ডিং।

এছাড়াও এখানে শীঘ্রই ডিজিটাল সিনেমাটোগ্রাফি ও ফিল্ম ডিরেকশন এই দুটি কোর্স চালু করা হবে। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব শ্রী চক্রবর্তী আরও বলেন, সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় এই প্রতিষ্ঠানটিকে আরও উন্নততর করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এই ইনস্টিটিউটে শীঘ্রই একজন কনসালটেন্ট নিযুক্ত করা হবে।

এছাড়াও এই ফিল্ম ইনস্টিটিউটের জন্য জায়গাও চিহ্নিত করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা সমীরণ দত্ত। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য এবং রাজ্যভিত্তিক সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী। অনুষ্ঠান শেষে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে শংসাপত্রগুলি তুলে দেন৷