অনলাইন ডেস্ক, ২২ নভেম্বর, ২০২৪: আগরতলার বীরচন্দ্র রাজ্য কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের কনফারেন্স হলে আজ নেশামুক্ত ভারত অভিযানের সাথে যুক্ত মাস্টার ভলান্টিয়ারসদের নিয়ে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা প্রশাসন কার্যালয় এবং সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এবং কেন্দ্ৰীয় সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের আরক্ষা বিভাগ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দপ্তর এবং নেশামুক্ত ভারত অভিযান কর্মসূচির সাথে যুক্ত বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিগণ এই কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করেন।
কর্মশালা শুরুর আগে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক ও সমাহর্তা সজল বিশ্বাস এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই ‘নেশামুক্ত ভারত অভিযান’ কর্মসূচির বিভিন্ন বিষয়গুলি তুলে ধরেন৷ তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, নেশামুক্ত ভারত গড়ার জন্য বা নেশামুক্ত ভারত অভিযানে রাজ্যের সংবাদমাধ্যমেরও বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। তিনি নেশামুক্ত ভারত অভিযানে মধ্য দিয়ে নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ার জন্য আজ যে বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে তার তথ্য সকলের সামনে তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান৷
সেইসাথে ঘরে ঘরে নেশামুক্ত ভারত অভিযান সফল করার বার্তা পৌছে দেওয়ারও আহ্বান জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরও জানান, রাজ্যের উচ্চশিক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তর, জেলা প্রশাসন, আরক্ষা দপ্তর এবং বিভিন্ন নেশামুক্ত কেন্দ্রগুলির প্রতিনিধিদের নিয়ে নেশামুক্ত ভারত অভিযান কর্মসূচির জন্য ৮০ জনের একটি মাস্টার ভলান্টিয়ারস দল তৈরি করা হয়েছে।
আজকের কর্মশালায় তাদেরই নেশামুক্ত ভারত অভিযানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে৷ সাংবাদিক সম্মেলনে ও কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার ডেপুটি কালেক্টর নবকুমার জমাতিয়া ও রাজ্যের দিব্যাঙ্গজন কল্যাণ ডেপুটি কমিশনার অচিন্তন কিলিকদার।
কর্মশালায় রিসোর্সপার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় বিচার ও ক্ষমতায়ণ মন্ত্রণালয় থেকে আগত গুঞ্জন শর্মা ও ডিম্পল যাদব৷ উল্লেখ্য, গুঞ্জন শর্মা ও ডিম্পল যাদব নেশামুক্ত ভারত অভিযানে রাজ্য কো-অর্ডিনেটর হিসাবে কাজ করছেন।
পশ্চিম জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও গ্রাম পঞ্চায়েতে কিভাবে এই নেশামুক্ত ভারত অভিযান কর্মসূচি চালাতে হবে, নেশার কবল থেকে ছেলেমেয়েদের কিভাবে সুরক্ষিত রাখতে হবে সেসব বিষয় নিয়ে কর্মশালায় গুঞ্জন শর্মা ও ডিম্পল যাদব বিস্তারিত আলোচনা করেন৷
নেশাসক্ত ব্যক্তিদের উদ্ধার কাজে সহযোগিতা চেয়ে ১৯৩৩ নম্বরে ফোন করার জন্য কো-অর্ডিনেটর গুঞ্জন শর্মা তার আলোচনায় জানান৷ এছাড়া কর্মশালায় একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে নেশামুক্ত ভারত অভিযান কর্মসূচির তথ্য ও কাজগুলি সকলের সামনে তুলে ধরা হয়।