অনলাইন ডেস্ক, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৪: চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা হলেন দেশের অগ্রণী সৈনিক। রাজ্যের যেসকল যুবক- যুবতী উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ পথে পা দিয়েছে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। এইচআইভি/এইডস ও হেপাটাইটিস প্রতিরোধে রাজ্যের সর্বত্র জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। আজ সুপারীবাগানস্থিত দশরথ দেব স্মৃতি অডিটোরিয়ামে হেপাটাইটিস ফাউন্ডেশন অব ত্রিপুরার উদ্যোগে বিশ্ব এইডস দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিধায়ক রতন চক্রবর্তী একথা বলেন।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে বিধায়ক বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে এইচআইভি/এইডস মুক্ত করার প্রয়াস নিয়েছেন। এই লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। অনুষ্ঠানে আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ডা. তপন মজুমদার বলেন, এবছর বিশ্ব এইডস দিবসের মূল থিম হলো ‘আমার স্বাস্থ্য, আমার অধিকার’। তিনি বলেন, ভারত সরকার আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে এইচআইভি/এইডস মুক্ত করার প্রয়াস নিয়েছে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা স্টেট এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির প্রোজেক্ট ডিরেক্টর ডা. সমর্পিতা দত্ত ও জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন, ত্রিপুরা শাখার যুগ্ম অধিকর্তা অরূপ দেব।
অনুষ্ঠানে হেপাটাইটিস ফাউন্ডেশন অব ত্রিপুরার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. প্রদীপ ভৌমিক বলেন, রাজ্যে হেপাটাইটিস ফাউন্ডেশন অব ত্রিপুরার ৩৫টি শাখা রয়েছে। এই সংস্থা এবছর হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি এবং এইচআইভি/এইডস রোগ সচেতনতার বিষয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আনন্দলোক কেয়ার এন্ড সাপোর্ট সেন্টারের প্রোজেক্ট ম্যানেজার ডা. বিধান গোস্বামী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হেপাটাইটিস ফাউন্ডেশন অব ত্রিপুরার ডা. এল এন ভৌমিক। অনুষ্ঠানে ২ জন প্ৰাক্তন মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে নয়া মঙ্গলকাব্য সংস্থা এইডস সচেতনতা বিষয়ক নাটক মঞ্চস্থ করে।