বাবাসাহেব ড. বি আর আম্বেদকরের ৬৯তম তিরোধান দিবস, ড. আম্বেদকর ছিলেন সংবিধানের রূপকার ঃ তপশিলি জাতি কল্যাণ মন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪: যথাযোগ্য মর্যাদায় আজ রাজ্যে দেশের সংবিধান প্রণেতা ভারতরত্ন বাবাসাহেব ড. বি আর আম্বেদকরের ৬৯তম তিরোধান দিবস পালন করা হয়৷ সকালে উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ প্রাঙ্গণে ড. আম্বেদকরের মর্মর মূর্তিতে পুস্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তপশিলি জাতি কল্যাণ মন্ত্রী সুধাংশু দাস, পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি বলাই গোস্বামী, বিধায়ক মীনা রাণী সরকার, আগরতলা পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র মণিকা দাস দত্ত, তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের সচিব দীপা ডি নায়ার, অধিকর্তা জয়ন্ত দে, সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা তপন কুমার দাস প্রমুখ।

তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তর থেকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিদ্যালয় ও ছাত্রাবাসের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিল্পীগণ ড. আম্বেদকরের মর্মর মূর্তিতে পুস্পার্ঘ অর্পণ করেন। অনুষ্ঠানে তপশিলি জাতি কল্যাণ মন্ত্রী সুধাংশু দাস বলেন, ড. আম্বেদকর ছিলেন দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, সমাজ সংস্কারক ও সংবিধানের রূপকার। ড. আম্বেদকর এক নতুন ভারত গড়তে চেয়েছিলেন।

যেখানে থাকবে না জাতপাত ব্যবস্থা, বর্ণভেদ প্রথা, থাকবে ন্যায় ও সাম্যের অধিকার। অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, ড. আম্বেদকরের জীবন আমাদের কাছে আশীর্বাদ স্বরূপ৷ তিনি শুধু দেশের অস্পৃশ্য ও পিছিয়ে পড়াদের জন্য নয়, সকলের উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। ড. আম্বেদকর এক বিরল প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ড. আম্বেদকরের আদর্শ অনুসরণ করেই এগিয়ে চলেছেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি বলাই গোস্বামী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের সচিব দীপা ডি নায়ার। অনুষ্ঠানে শচীন দেববর্মণ স্মৃতি সরকারি সংগীত মহাবিদ্যালয়ের শিল্পীগণ ভজন পরিবেশন করেন।