উত্তর ত্রিপুরা জেলায় স্টোন ক্রাসার ইউনিটের সাথে যুক্ত ব্যবসায়ীদের নিয়ে কর্মশালা, স্টোন ক্রাসিং ইউনিট স্থাপন ও পরিচালনার ক্ষেত্রে নীতি নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে ঃ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪: স্টোন ক্রাসিং ইউনিট স্থাপন ও পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নীতি নির্দেশিকা রয়েছে। এই নীতি নির্দেশিকা মেনে স্টোন ক্রাসিং ইউনিটগুলি স্থাপন করতে হবে। স্টোন ক্রাসিং ইউনিটগুলির জন্য যাতে বায়ু দূষণ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আজ উত্তর ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে জেলার স্টোন ক্রাসার ইউনিটের সাথে যুক্ত ব্যবসায়ীদের নিয়ে এক কর্মশালায় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা একথা বলেন। ত্রিপুরা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়৷ কর্মশালায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, উত্তর ত্রিপুরা জেলার চুড়াইবাড়ি কদমতলায় অনেকগুলি স্টোন ক্রাসিং ইউনিট রয়েছে।

এর মধ্যে অনেকগুলি স্টোন ক্রাসিং ইউনিট ত্রিপুরা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নিয়মনীতি মানছে না বলে অনেক অভিযোগ রয়েছে। এবিষয়ে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ মন্ত্রী স্টোন ক্রাসিং-এর সাথে যুক্ত ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করেন। কর্মশালায় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ মন্ত্রী আরও বলেন, যেসকল স্টোন ক্রাসিং ইউনিট গাইডলাইন অনুযায়ী জাতীয় সড়ক থেকে ১০০ মিটারের কম দূরত্বের মধ্যে রয়েছে সেগুলি ১০০ মিটার দূরে ধাপে ধাপে সরিয়ে নিতে হবে৷ নতুন করে আর একটিও স্টোন ক্রাসিং ইউনিট গাইডলাইন অমান্য করে যাতে স্থাপন না করা হয় এই বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

এদিনের কর্মশালায় এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক ইসলামউদ্দিন, বিধায়ক যাদবলাল দেবনাথ। এদিনের অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও পরিবেশ দপ্তরের সচিব ড. কে শশীকুমার বায়ু দূষণের ভয়াবহ দিকগুলি তুলে ধরে ব্যবসায়ীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। কর্মশালায় উত্তর ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ও সমাহর্তা দেবপ্রিয় বর্ধন বলেন, রাজ্যের উন্নয়নমূলক কাজগুলি সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে স্টোন প্রয়োজন৷ এক্ষেত্রে স্টোন ক্রাসিং ইউনিটগুলি যেমন প্রয়োজন আছে, তবে এক্ষেত্রে গাইডলাইন মেনে এই স্টোন ক্রাসিং ইউনিটগুলি পরিচালন করা প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ত্রিপুরা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সদস্য সচিব বিশু কর্মকার এদিনের কর্মশালায় স্টোন ক্রাসিং ইউনিট স্থাপনের ক্ষেত্রে যে গাইডলাইন রয়েছে তা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। এই স্টোন ক্রাসিং ইউনিটগুলি বসতি থেকে ন্যূনতম ৩০০ মিটার, জাতীয় সড়ক ও রেল লাইন থেকে ১০০ মিটার, নদী, জলাশয় থেকে ১০০ মিটার, বিদ্যালয়, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, সরকারি কার্যালয় থেকে ৪০০ মিটার, হাসপাতাল থেকে ৫০০ মিটার, অভয়ারণ্য থেকে ১০০০ মিটার, সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে ৫০০ মিটার, ঐতিহাসিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থান থেকে ৫০০ মিটার দূরে স্থাপন করার গাইডলাইন রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এদিনের কর্মশালায় জেলা বন আধিকারিক সুমন মল্ল, বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও পরিবেশ দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন।