কৃষি স্বর্ণ সমৃদ্ধি সপ্তাহ, সালেমায় কৃষক প্রশিক্ষণ শিবির ও সচেতনতা কর্মসূচি

অনলাইন ডেস্ক, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪: কৃষি স্বর্ণ সমৃদ্ধি সপ্তাহ উদযাপন কর্মসূচিতে গত ৭ ডিসেম্বর ধলাইজেলার সালেমা টাউন হলে কৃষক প্রশিক্ষণ শিবির ও সচেতনতা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র (কেভিকে), ধলাই এবং হিন্দুস্তান ইনসেক্টিসাইড লিমিটেড (এইচ আই এল) ইন্ডিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সালেমা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান বীনা দাস বিশ্বাস এই কৃষক প্রশিক্ষণ শিবির ও সচেতনতার উদ্বোধন করেন।

এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হল সুসংহত কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং পরিবেশবান্ধব ফসল সুরক্ষা পদ্ধতির প্রচারের মাধ্যমে স্থায়ী জৈব স্থায়ী জৈব দূষক ও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কীটনাশকের ব্যবহার হ্রাস করা। এই প্রশিক্ষণ শিবির ও সচেতনতা কর্মসূচিতে সুরক্ষিত ও সঠিক কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা, পরিবেশবান্ধব কৃষি সমাধান গ্রহণের মাধ্যমে টেকসই কৃষি উন্নয়ন নিশ্চিত করা, স্থায়ী জৈব দূষক ও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কীটনাশকের ব্যবহার হ্রাস করে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা, ফসল উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং কৃষকদের খরচ কমানোর জন্য সুসংহত কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনার উপকারীতা সম্পর্কে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

প্রশিক্ষণ শিবির ও সচেতনতা কর্মসূচিতে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হিন্দুস্তান ইনসেক্টিসাইড লিমিটেডের আরএসও পার্থ প্রতিম প্রধান। তাছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সালেমা বিএসি’র চেয়ারম্যান বিমল দেববর্মা, সালেমা পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান ননী গোপাল কর, সালেমা গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান অপুবা পোদ্দার, সিঙ্গিনালা গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান গোপা দাস প্রমুখ। তাছাড়াও প্রশিক্ষণ শিবির ও সচেতনতা কর্মসূচিতে কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞগণ ড্রোনের মাধ্যমে কীটনাশক প্রয়োগ, কীটপতঙ্গের পূর্বাভাস এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং ব্যবহারের জন্যও কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।

প্রশিক্ষণ শিবিরে রিসোর্সপার্সন জানান, কীটনাশক আধুনিক কৃষিতে পোকামাকর নিয়ন্ত্রণ এবং ফসলের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে এর অযাচিত ব্যবহার মাটি, জল এবং খাদ্য শৃঙ্খলে দূষণের মতো উল্লেখযোগ্য পরিবেশগত এবং স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি সৃষ্টি করে। সুসংহত কীটনাশক ব্যবস্থাপনা এবং পরিবেশবান্ধব ফসল সুরক্ষা কৌশল গ্রহণের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করে টিকসই পদ্ধতি গড়ে তোলা সম্ভব৷ এতে স্থায়ী জৈব দূষক ও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কীটনাশকের উপর নির্ভরতাও কমায়।

Recent Posts