গৃহবধূ খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার স্বামী

অনলাইন ডেস্ক, ১৭ জানুয়ারী, ২০২৫: গৃহবধূ খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী, শ্বশুর ও শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনা করবুক ব্লকের লেবাছড়া ভিলেজের সূত্রধর পাড়ায়। অভিযুক্ত স্বামী ও শ্বশুর-শ্বাশুরীর বিরুদ্ধে নতুন বাজার থানায় মামলা দায়ের করল নিহত গৃহবধূর পিতা। অভিযুক্ত স্বামী পিন্টু সূত্রধরকে আটক করেছে পুলিশ। স্বামী ও শশুর শাশুড়ির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে অষ্টমী বেশ কয়েকবার তার বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছিল। কিন্তু বাপের বাড়িতে কিছুদিন থাকার পর স্বামী পিন্টু গিয়ে ক্ষমা চেয়ে স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসে।স্ত্রীকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার পর আবার শুরু করে মারধর।

নিহত গৃহবধূ অষ্টমী সূত্রধরের বড় ভাই এই অভিযোগটি করেছেন। তিনি আরো বলেন বুধবার গভীর রাতে তার বোন বাবাকে ফোন করে বলেছিল তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য নাহলে তাকে মেরে ফেলা হবে। সকাল হতেই বোনের শ্বশুর খবর দেয় বোন নাকি আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে গৃহবধুর বাপের বাড়ির লোকজন তার বোনের শ্বশুরবাড়িতে ছুটে আসে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানায় অষ্টমী নাকি গভীর রাতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

কিন্তু ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ কিংবা গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন কেউই অষ্টমীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়নি। ঘরের মেঝেতেই লুটিয়ে পড়ে ছিল মৃতদেহটি। এমনকি কোথায় ফাঁস লাগিয়েছে তাও সঠিক করে বলতে পারছে না নিহত গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। নিহত গৃহবধুর বাপের বাড়ির লোকজন সরাসরি অভিযোগ করেন যে স্বামী ও শ্বশুর শাশুড়ি মিলে পরিকল্পিতভাবে অষ্টমীকে খুন করেছে। গৃহবধুর পিতা গণেশ মণ্ডল নূতন বাজার থানায় স্বামী পিন্টু সূত্রধর, শ্বশুর হরিপদ সূত্রধর এবং শাশুড়ি বিনা সূত্রধর এর বিরুদ্ধে লিখিত মামলা দায়ের করেছে।

অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান নিহত গৃহবধুর ভাই সহ বাপের বাড়ির লোকজন। পুলিশ স্বামী পিন্টু সূত্রধর কে আটক করলেও অপরদিকে অভিযুক্ত হরিপদ সূত্রধর ও বিনা সূত্রধর কে কেন গ্রেপ্তার করছে না তা জানতে চান নিহত গৃহবধুর ভাই। যদিও নতুন বাজার থানার পুলিশ জানিয়েছে, যে তদন্তক্রমে পুলিশ পরবর্তী সময় বাকি অভিযুক্তদেরও গ্রেপ্তার করবে। গৃহবধুর আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত খুন তা একমাত্র পুলিশের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমেই বেরিয়ে আসা সম্ভব।