অনলাইন ডেস্ক, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫: প্রসব পরবর্তী সময়ে মা ও নবজাত শিশুর সুস্থ স্বাস্থ্য বজায় রাখার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রসূতি মায়েদের বাড়িতে গিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা সহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করছেন। উত্তর জেলার পানিসাগর মহকুমা হাসপাতালের অন্তর্গত পশ্চিম পানিসাগর আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দিরের অধীনে আশা ফেসিলিটেটর অর্পিতা পাল এবং আশাকর্মী অর্পণা দাস পশ্চিম পানিসাগর এলাকার বাসিন্দা রীতা শীল নামে এক প্রসূতি মায়ের বাড়িতে গিয়ে নিয়মিত পরিদর্শন করছেন।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে পার্শ্ববর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে রীতা শীল এক কন্যাসন্তানের স্বাভাবিকভাবে প্রসব করেন। শিশুটি তিন কেজি দুইশত গ্রাম ওজনের ছিল। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে ফিরে আসার পর থেকেই স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়মিত প্রসূতি মা রীতা শীলের বাড়িতে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করছেন। ১২ দিন পর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ আশা ফেসিলিটেটর অর্পিতা পাল এবং আশাকর্মী অর্পণা দাস পরিদর্শনের সময় নবজাত শিশুর ওজন পরিমাপ সহ শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করেন।
পরিদর্শনকালে দেখা যায়, শিশুটির ওজন বেড়ে তিন কেজি চারশত গ্রাম হয়েছে। এর পাশাপাশি আশা ফেসিলিটেটর অর্পিতা পাল এবং আশাকর্মী অর্পণা দাস নবজাত শিশুর নাভির পরিচর্যা, শিশুর সঠিক স্তন্যপান পদ্ধতি ও প্রসব পরবর্তী মায়েদের স্বাস্থ্য পরিচর্যা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে নবজাত শিশুর মা রীতা শীলকে পরামর্শ প্রদান করেন। পরিদর্শনকালে মা ও শিশু উভয়ই সুস্থ ছিল। স্বাস্থ্যকর্মীদের দ্বারা বাড়িতে স্বাস্থ্য পরিষেবা সহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ পেয়ে রীতা শীলের পরিবার তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পরিবার কল্যাণ ও রোগ প্রতিরোধক দপ্তর থেকে এক প্রেস রিলিজে এই সংবাদ জানানো হয়েছে।