রাজ্যভিত্তিক চিন্তন দিবস অনুষ্ঠানে ক্রীড়ামন্ত্রী, বাল্যবিবাহরোধ ও নেশার বিরুদ্ধে লড়াই আজকের দিনে মূল ভাবনা হওয়া উচিত

অনলাইন ডেস্ক,২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫: আত্মনির্ভর হওয়ার মানসিকতা নিয়ে বড় হয়ে উঠার জন্য যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায় রাজ্যের ছাত্র ও যুব সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আজ সকালে বাধারঘাটস্থিত রাইমা সুইমিং পুল প্রাঙ্গণে আয়োজিত রাজ্যভিত্তিক চিন্তন দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে চলার সংকল্প নেওয়া হয়ে থাকে।

যেকোন কাজেই সবার অংশগ্রহণ যাতে থাকে তা সুনিশ্চিত করতে হবে। বাল্যবিবাহরোধ ও নেশার বিরুদ্ধে লড়াই আজকের দিনে মূল ভাবনা হওয়া উচিত। তিনি বলেন, আমাদের রাজ্যে অনেক সম্পদ রয়েছে। একে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। গত দু’বছরে বিদ্যালয়স্তরে খেলাধুলায় রাজ্যের পক্ষে অনেক পদক এসেছে। বর্তমান সময়ে ত্রিপুরার মতো এক ছোট রাজ্যের অনেক সফলতা রয়েছে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি আগরতলা পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র মণিকা দাস দত্ত বলেন, খেলাধুলা এখন শিক্ষারই একটি অংশ। স্কাউটস ও গাইডসরা সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সমাজের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে তাদের অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মতো। তিনি বলেন, রক্তদান একটি মহৎ সেবামূলক কাজ। রক্তদানের মতো মহৎ কাজে বেশি করে এগিয়ে আসার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের সচিব ড. প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, স্কাউটস ও গাইডসরা বিভিন্নভাবে রাজ্য সরকারকে সাহায্য করে থাকে। বাল্যবিবাহ রোধ, নেশামুক্ত সমাজ গঠনে স্কাউটস ও গাইডসরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি রাজ্য পুলিশের ডিআইজি প্রবীর মজুমদার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, স্কাউটস ও গাইডসদের কাজ হচ্ছে যেকোন ধরণের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য তৈরী থাকা।

প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মতো যেকোন ধরণের সংকটে মানুষদের উদ্ধার করা স্কাউটস ও গাইডস’র একটা বড় কাজ। এজন্য তাদের সব সময় মানসিকভাবে তৈরী থাকতে হবে। স্বাগত বক্তব্যে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের অধিকর্তা এস বি নাথ বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে স্কাউটস ও গাইডসদের আরও বেশি ইউনিট খোলার জন্য উদোগ নেওয়া হয়েছে। এনএসএস, এনসিসি’র মতো স্কাউটস ও গাইডসদেরও ব্যাপক প্রসার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে এবছর রাজ্যের বিভিন্ন অংশে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে যারা বিশেষ পারদর্শিতা দেখিয়েছেন তাদের পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে একটি রক্তদান শিবিরেরও আয়োজন করা হয়। শিবিরের উদ্বোধন করেন ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায়। অনুষ্ঠানে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের সহ অধিকর্তা ড. ভারতী নিগম, খেলো ইন্ডিয়া স্টেট সেন্টার অব এক্সিলেন্সের এইচপিডি ড. সূর্যকান্ত পাল উপস্থিত ছিলেন।

Recent Posts