অনলাইন ডেস্ক,২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫: ত্রিপুরা রাজ্যে কৃষি জমির পরিমাণ খুবই কম। ত্রিপুরা রাজ্যে মোট ভূমির পরিমাণ ৬০ লক্ষ ৬২ হাজার কানি। তারমধ্যে মাত্র ২৯ লক্ষ কানিতে ফসল চাষ হয়। তার মধ্যে মাত্র ১৫ লক্ষ কানিতে ধান চাষ হয়। ফলে কৃষকরা যদি কৃষি কাজের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে রাজ্যে খাদ্য সমস্যা দেখা দেবে।
তাই দেশের প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। শুক্রবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটা জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরো জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী কৃষাণ সম্মান নীধি প্রকল্প চালু করেছেন। ২০১৮-১৯ সালে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পে এখনো পর্যন্ত ত্রিপুরা রাজ্যের ২ লক্ষ ৭৭ হাজার ৯৭০ জন কৃষকের ব্যাংক একাউন্টে ১৮ কিস্তিতে ৭৯১ কোটি ৭৫ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।
২০১৮-১৯ সালে দেওয়া হয়েছে ১ লক্ষ ৫১ হাজার কৃষককে ৩০ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ লক্ষ ৯৯ হাজার কৃষককে দেওয়া হয়েছে ১১৩ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা। ২০২০-২১ সালে ২ লক্ষ ২৯ হাজার কৃষককে দেওয়া হয়েছে ১২৯ কোটি টাকা। ২০২১-২২ সালে ২ লক্ষ ৩৮ হাজার কৃষককে দেওয়া হয়েছে ১৩৪ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২ লক্ষ ৪৪ হাজার কৃষককে ১৪৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২ লক্ষ ৫২ হাজার কৃষককে দেওয়া হয়েছে ১৩১ কোটি টাকা।
২০২৪-২৫ সালে ২ লক্ষ ৭৭ হাজার কৃষককে দেওয়া হয়েছে ১০৪ কোটি টাকা। ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী কৃষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের ১৯ তম কিস্তি প্রদান করা হবে। ১৯ তম কিস্তিতে দেশের ৯ লক্ষ ৭০ হাজারের অধিক কৃষককে ২২ হাজার কোটি টাকা অধিক প্রদান করা হবে বলে জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
তিনি আরও জানান ১৯ তম কিস্তিতে ত্রিপুরা রাজ্য পাবে ৫০ কোটি ৮৬ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। পাট্টা প্রাপক কৃষকরাও প্রধানমন্ত্রী কৃষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন বলে জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তবে সাংবিধানিক পদে থাকা কৃষকরা এই প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পাবেন না বলে জানান তিনি।