অর্থাভাবকে আমার স্বপ্নের বাধা হতে দিইনি , ইউটিউবে পড়াশোনা করে সিভিল সার্ভিস পাশ!

অনলাইন ডেস্ক, ২৭ অক্টোবর, ২০২৪: মেয়েকে কোচিং সেন্টারে ভর্তি করিয়ে পড়ানোর মতো সামর্থ্য ছিল না পরিবারের।

 

মা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। বাবা সরকারি হাইস্কুলে রান্নার কাজ করেন। দুজনে যা উপার্জন করেন তা দিয়ে কোনওরকমে সংসার চলে। কিন্তু মেয়ে একজন প্রশাসক হতে চান।

 

কন্যাই তাদের আশ্বস্ত করেন। তিনি বোঝান, কোচিং সেন্টারের প্রয়োজন নেই, নিজেই পড়াশোনা করে সিভিল সার্ভিস পাশ করবেন। তার পর থেকেই লড়াই শুরু। এলো সাফল্যও।

 

আর এই পরীক্ষা পাশ করার জন্য ইউটিউবের সহযোগিতা নেন তিনি।বিনি মুরুলি ওড়িশার বোন্দা আদিবাসী সম্প্রদায়ের তরুণী। ইউটিউব ভিডিও দেখে এবং ইন্টারনেট ঘেঁটে নিজেই ওড়িশা সিভিল সার্ভিসের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।

 

শনিবার সন্ধ্যায় সেই পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। তাতে পাশও করেন তিনি। ৫৯৬ র‌্যাঙ্ক হয়েছে বিনির। বোন্দা সম্প্রদায় থেকে বিনিই প্রথম এত উচ্চপদের একটি চাকরি পেলেন। ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিনি বলেন, ‘জানতাম, আমার বাবা-মা কোচিংয়ের জন্য জন্য টাকা জোগাতে পারবেন না।

 

কিন্তু অর্থাভাবকে আমার স্বপ্নের বাধা হতে দিইনি। তার পরিবারের কোচিং ক্লাসের সামর্থ্য না থাকায়, বিনি মুদুলি ইউটিউব ভিডিও দেখেন এবং ওডিশা সিভিল সার্ভিসেস (ওসিএস) পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অনলাইনে মক পরীক্ষা দেন।

 

বিনি বলেন ইউটিউব দেখেই পড়াশোনা শুরু করলাম। ইন্টারনেট থেকে পরীক্ষার জন্য স্টাডি মেটিরিয়ালও জোগাড় করে ফেলেছিলাম।’২০২০ সালে প্রথমবার সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসেন। কিন্তু পাশ করতে পারেননি।

 

বিনি জানান, ওই পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে বুঝেছিলেন, এখনও নিজেকে প্রস্তুত করতে অনেক চেষ্টা করতে হবে। সেই থেকে তার স্বপ্ন পূরণের লড়াই শুরু। কোচিং সেন্টারে যাননি।

 

ইউটিউবের ভরসাতেই পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় যখন ফলাফল প্রকাশিত হয়, রাজ্য সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে বিনি। অবশেষে তার সেই প্রচেষ্টা সার্থক।