অনলাইন ডেস্ক, ২৮ অক্টোবর, ২০২৪: পরিবহন দপ্তর ও পুর নিগমকে যৌথভাবে কাজ করা প্রয়োজন। শহরের নো-পার্কিং জোনগুলোতেগ্র হণ করতে হবে।
আজ সচিবালয়ে ২নং সভাকক্ষে আগরতলা পুর নিগম এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থানি য়ে এক পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ড.) মানিক সাহা একথা বলেন। সভায় আগরতলায় ব্যবস্থায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে।
নাগরিকগণ যাতে রাস্তায় নিরাপদে চলাচলক রতে পারে সে বিষয়ে রাজ্য সরকার বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে। আগরতলা শহরে যানজট এডাতে পার্কিং জোনের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করার প্রয়োজন রয়েছে৷
নতুন পার্কিং জোনের জন্য স্থান চিহ্নিত করে দ্রুত কাজ শুরু করতে ট্রাফিক পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সভায় মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আগরতলা শহর এলাকার ব্যস্ততম সড়কগুলোর পাশে যে সমস্ত ভেন্ডার ব্যবসা করছেন তাদের সেখান থেকে সরিয়ে পুর নিগম নির্ধারিত স্থানে বসানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
পাশাপাশি এ সমস্ত এলাকায় নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে। তিনি বলেন, নিগম ও পরিবহন দপ্তরকে যৌথভাবে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। শহর এলাকায় য়ে সমস্ত ফ্ল্যাট বা মাল্টি স্টোরিড বিন্ডিং নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে পার্কিং প্ল্যান যথাযথভাবে মানা হচ্ছে কিনা তা নিয়মিত তদারকি করতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১৫ বছরের অধিক যানবাহনগুলোর স্ক্যাপিং যথাযথভাবে হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষন করার প্রয়োজন। পাশাপাশি গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশকে আরও সচেষ্ট থাকতে হবে।
শহরের যে সমস্ত রাস্তা প্রশস্তকরণের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে তা দ্ুত শুরু করতে পূর্ত দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যেকে নির্দেশ দেনমু খ্যমন্ত্রী।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ট্রাফিক ইউনিট নিয়মিত অভিযান চালানোর পাশাপাশি জানান, আগরতলা পুর নিগম এলাকায় বর্তমানে ৪৫টি পার্কিং জোন, ২৩টি নো-পার্কিং জোন, ৭টি ওয়ান ওয়ে, ২৯টি বৈদ্যুতিক ট্রাফিক সিগন্যাল ও ৫৯টি ট্রাফিক পয়েন্ট রয়েছে।
পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুতৃপূর্ণ সড়কগুলোতে সিসিটিভি”র মাধ্যমে নজরদারিও চালানো হচ্ছে। পর্যালোচনা সভায় এছাড়াও মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন, মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ডঃ প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, পূর্ত দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে।