অনলাইন ডেস্ক, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪: উত্তর ত্রিপুরা জেলায় স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়িতে গিয়ে নবজাত শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। জেলার পদ্মপুর আরবান প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত ধর্মনগর পদ্মপুরের মধুবাড়ি এলাকার দীপঙ্কর মজুমদার ও অলি মজুমদারের বাড়িতে গত ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ স্বাস্থ্যকর্মীরা পরিদর্শন করেন।
গত নভেম্বর মাসের ৮ তারিখে পার্শ্ববর্তী বহির্রাজ্যের একটি হাসপাতালে অলি মজুমদার এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। মাত্র ১কেজি ৮০০ গ্রাম ওজন ছিল। শিশুটির মূলত কম ওজনের কারণে সঙ্কটজনক অবস্থায় ছিল।সঙ্কটাপন্ন শিশুটিকে অভিভাবকরা বাড়িতে নিয়ে আসার পর স্বাস্থ্যকর্মীর নিয়মিত তাদের বাড়িতে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন।
আঠাশ দিন পর আশা ফেসিলিটেটর অনামিকা বিশ্বাস এবং আশাকর্মী অপর্ণা পুরকায়স্থ পদ্মপুরের মধুবাড়ির বাড়িতে পরিদর্শনকালে দেখতে পান শিশুটির ওজন বেড়ে দুই কেজি চারশো গ্রাম হয়েছে। এই কর্মসূচিতে আশাকর্মীরা প্রথমেই নবজাতকের সংক্রমণ রোধ করার উদ্দেশ্যে স্যানিটাইজড হয়ে শিশুটির সংস্পর্শে আসেন ।
নবজাত শিশুটির ওজন পরিমাপ করেন এবং শিশুকে মায়ের বুকের দুধ পান করানোর গুরুত্ব ও ছয় মাস পর্যন্ত শিশুদের শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ পান করানো এবং ছয় মাস পর থেকে অন্যান্য পরিপূরক ও সুষম পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়ানোর জন্য পরামর্শ প্রদান করেন। এছাড়াও মায়ের রক্তে হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা করা, আয়রনযুক্ত খাবারের প্রয়োজনীয়তা ও মায়েদের পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করার ব্যাপারেও পরামর্শ প্রদান করেন। পরিবার কল্যাণ ও রোগ প্রতিরোধক দপ্তর থেকে এক প্রেস রিলিজে এই সংবাদ জানানো হয়েছে।