অনলাইন ডেস্ক, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪: ভারতের প্রবেশ বাড়ছে সেই দেশের সংখ্যালঘুদের। আতঙ্কে আর দিন কাটাতে পারছে না তারা। নির্যাতন, খুন, সন্ত্রাস মানুষের পিঠ দেওয়ালে ঠেকিয়েছে। তাই ভিটেমাটি ফেলে বৃদ্ধ মা বাবা, সন্তান নিয়ে বেআইনিভাবেই ভারতে প্রবেশ করে তারা। শনিবার আমবাসা রেলস্টেশন থেকে ১০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে রেল পুলিশ। কমলপুর সীমান্ত দিয়ে এই ১০ জন বাংলাদেশি রাজ্যে অনুপ্রবেশ করেছে।
শনিবার সকালে কমলপুর থেকে আমবাসা রেল স্টেশনে এসেছিল এই ১০ জন বাংলাদেশী নাগরিক। তাদের উদ্দেশ্য ছিল শিলচরে পাড়ি দেওয়া। ধৃত বাংলাদেশী নাগরিকরা জানায় বদলের বাংলাদেশে তাদের পক্ষে বসবাস করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশে আগের সরকার ভালো ছিল। বর্তমান সরকারের সময়ে সেই দেশে নির্যাতনের শিকার সংখ্যা লঘুরা।
তাই বাধ্য হয়ে পরিবারের সকলকে নিয়ে কষ্ট করে জীবনের ঝুকি নিয়ে ভারতের এসেছেন অবৈধ ভাবে। তাদেরকে মেরে ফেললেও তারা আর বাংলাদেশে ফিরে যাবেন না। তাদের বক্তব্য তারা ট্রেনে করে শীলচর যাওয়ার উদ্দেশ্যে আমবাসা রেল স্টেশনে এসেছিল। শীলচর গিয়ে ঘর ভাড়া নিয়ে দিন মজুরের কাজ করে বসবাস করা তাদের উদ্দেশ্য ছিল।
একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এ ধরনের রাজত্ব নামে আনা হবে সেটা কারোরই জানা ছিল না। প্রশাসন আছে বলে কারুর জানা নেই। সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হয়ে বিচার চেয়েও বিচার মিলছে না তাদের। তাদের মধ্যে দাবি হাসিনা সরকারের সময় ভালো ছিল। নিরাপদে তারা পরিবার নিয়ে বসবাস করতে পেরেছে।
দুর্গত আট আগস্টের পর তারা জীবন ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশে ছিল। শেষ পর্যন্ত দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে বলে জানান। তবে পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে যা উঠে এসেছে তা অত্যন্ত উদ্বেগ জনক। কোন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এ ধরনের কার্যকলাপ কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।