অদ্বৈত মল্লবর্মণের জীবনী থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে : তপশিলি জাতি কল্যাণ মন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক, ১৭ জানুয়ারী, ২০২৫: মেধার বিকাশ কোন পারিবারিক বা সামাজিক প্রতিকূলতায় আটকে থাকেনা যদি সেই মেধাবীর লক্ষ্য স্থির থাকে এবং একান্ত ইচ্ছা বা আগ্রহ থাকে৷ অদ্বৈত মল্লবর্মণ সেই রকমই একজন মেধাবীর দৃষ্টান্ত। আজ রামঠাকুর মহাবিদ্যালয়ের প্রমোদ মুক্তমঞ্চে ‘অদ্বৈত মল্লবর্মণের সমাজ ভাবনা’ এই বিষয়ে আয়োজিত রাজ্যভিত্তিক সেমিনারের উদ্বোধন করে তপশিলি জাতি কল্যাণ মন্ত্রী সুধাংশু দাস একথা বলেন।

তিনি বলেন, অদ্বৈত মল্লবর্মণ এমনি একজন মেধাবী ব্যক্তিত্ব যাঁর মেধা ও ব্যক্তিত্বের বিকাশ জীবনের চরম দারিদ্রতাও আটকে রাখতে পারেনি। তপশিলি জাতি কল্যাণ মন্ত্রী তাঁর কর্মজীবনের বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, অদ্বৈত মল্লবর্মণ একাধারে একজন সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক, উপন্যাসিক ও দার্শনিক ছিলেন। স্কুলে থাকা অবস্থায় তিনি লিখতে শুরু করেন। তাঁর গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ ও উপন্যাস সেই সময় থেকেই সুধীসমাজে সমাদৃত হয়ে আসছে। তপশিলি জাতি কল্যাণ মন্ত্রী সুধাংশু দাস বলেন, অদ্বৈত মল্লবর্মণের জ্ঞান তৃষ্ণা ছিল প্রবল৷ তাই উপার্জিত অর্থের এক বিরাট অংশ তিনি গ্রন্থ সংগ্রহে ব্যয় করতেন।

দুঃস্থ ও পরিচিত জনদের কল্যাণেও তিনি তাঁর উপার্জিত অর্থ ব্যয় করতেন। কিন্তু এই স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিনি সমাজের জন্য যা দিয়ে গেছেন তা অত্যন্ত মূল্যবান। তিনি মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের এই মহান ব্যক্তিত্ব অদ্বৈত মল্লবর্মণের জীবনী ও তাঁর রচনা পাঠ করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, শিক্ষা ও ডিগ্রি সবার কাছেই থাকে কিন্তু সুষ্ঠু চিন্তাধারা, সমাজের জন্য কিছু করার মানসিকতা বা মানবিকতা সবার থাকে না। এই ধরণের ব্যক্তিত্বদের রচনা পাঠ মানুষের জীবনে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও নিজের আত্মবিশ্বাস নিয়ে লড়াই করে বেঁচে থাকার রসদ যোগায়।

তিনি ছাত্রছাত্রীদের অদ্বৈত মল্লবর্মণের জীবনী থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের জীবনকেও তাঁর আদর্শে চালিত করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, কঠোর পরিশ্রমে আমরাও আমাদের লক্ষ্যে পৌছুতে পারি। এছাড়া অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিধায়ক মীনা রাণী সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আগরতলা পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র মণিকা দাস দত্ত ও রাজ্যভিত্তিক সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী।

অনুষ্ঠানে ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন রামঠাকুর মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পাপড়ি দাস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা জয়ন্ত দে৷ এছাড়া ‘অদ্বৈত মল্লবর্মণের সমাজ ভাবনা’ এই বিষয়ে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ প্রফেসর ড. নির্মল দাস এবং আগরতলা মহিলা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. নারায়ণ ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানটি রামঠাকুর মহাবিদ্যালয়ের উদ্যোগে তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের সহায়তায় করা হয়েছে।