অনলাইন ডেস্ক, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫: প্রজাতন্ত্র দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। দেশের সব অংশের মানুষ সংবিধান বর্ণিত প্রতিটি অধিকার ভোগ করছেন। নানা কাজের মধ্য দিয়ে সমগ্র বিশ্বের মধ্যে ভারত এক বৃহৎ শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। গতকাল উদয়পুর কেবিআই স্কুল প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় একথা বলেন৷ গোমতী জেলাভিত্তিক ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের মূল অনুষ্ঠানটি হয় উদয়পুর কেবিআই স্কুল প্রাঙ্গণে।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার, গোমতী জিলা পরিষদের সহসভাধিপতি সুজন কুমার সেন, উদয়পুর পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন শীতল চন্দ্র মজুমদার, গোমতী জেলার জেলাশাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা, জেলার পুলিশ সুপার নমিত পাঠক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং যোগাসন প্রদর্শিত হয়। এছাড়া এদিন সকালে উদয়পুর মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিধায়ক অভিষেক দেবরায়।
জিরানীয়া : যথাযোগ্য মর্যাদায় জিরানীয়া মহকুমায়ও গতকাল পালিত হয়েছে ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস। মহকুমার মূল অনুষ্ঠানটি হয় জিরানীয়াস্থিত বীরেন্দ্রনগর দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয় মাঠে। সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। সম্মিলিত বাহিনীর কুচকাওয়াজের অভিবাদন গ্রহণ করে তিনি বলেন, সবার আগে দেশ। দেশকে ভালোবাসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুযোগ্য নেতৃত্বে ভারত সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জিরানীয়া নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সন রতন কুমার দাস, ভাইস চেয়ারপার্সন রীতা দাস প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা পরিবেশিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কৈলাসহর : কৈলাসহরের রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয় স্টেডিয়ামে প্রজাতন্ত্র দিবসে জেলার মূল অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়। সম্মিলিত বাহিনীর কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করে তিনি বলেন, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুফল সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ ভোগ করছেন।
রাজ্য সরকার জনগণের কল্যাণে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। অনুষ্ঠানে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঊনকোটি জিলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস, কৈলাসহর পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায়, ঊনকোটি জেলার জেলাশাসক দিলীপ কুমার চাকমা, পুলিশ সুপার কান্তা জাঙ্গির, কৈলাসহর মহকুমার মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার প্রমুখ।
খোয়াই : খোয়াই জেলার প্রজাতন্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠানটি হয় বিমানবন্দর মাঠে। সেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে সম্মিলিত বাহিনীর কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা। তিনি তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রজাতন্ত্র দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে স্থানীয় শিল্পীদের সমন্বয়ে প্রভাতফেরি খোয়াই শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে।
এছাড়া খোয়াই মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী। জিলা পরিষদ কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন খোয়াই জিলা পরিষদের সভাধিপতি অপর্ণা সিংহ রায় (দত্ত)। বিলোনীয়া : দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলাভিত্তিক প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের মূল অনুষ্ঠানটি হয় বিলোনীয়া বিদ্যাপীঠ দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয় মাঠে।
সেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সমবায়মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া। সম্মিলিত বাহিনীর কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করে তিনি জনগণের কল্যাণে যে সমস্ত উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে তার রূপরেখা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থা ও বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীগণ এদিন মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি দীপক দত্ত, বিধায়ক স্বপ্না মজুমদার, বিলোনীয়া পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন নিখিল চন্দ্র গোপ, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক স্মিতা মল, পুলিশ সুপার অশোক সিনহা প্ৰমুখ মোহনপুর : মোহনপুর মহকুমায় গতকাল যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করা হয়। মোহনপুর দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী বৃষকেতু দেববর্মা। তিনি তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রজাতন্ত্র দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থার শিল্পীগণ এবং ছাত্রছাত্রীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহনপুর পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন অনিতা দেবনাথ, মোহনপুর পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান সঞ্জীব দাস, মোহনপুর মহকুমার মহকুমা শাসক নির্মল কুমার প্রমুখ।
ধর্মনগর : প্রজাতন্ত্র দিবসের উত্তর ত্রিপুরা জেলাভিত্তিক মূল অনুষ্ঠানটি হয় ধর্মনগর বিবিআই ময়দানে। সেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ও কুচাকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন। অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আমাদের দেশ এগিয়ে চলেছে। কেন্দ্রের বর্তমান সরকার সমাজের সব অংশের মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উত্তর ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অপর্ণা নাথ, ধর্মনগর পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন মিতালি রাণী দাস সেন, জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন, পুলিশ সুপার অবিনাশ রাই প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এদিন জেলার ৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সম্মাননা জানানো হয়। পানিসাগর : পানিসাগর বিবেকানন্দ মুক্তমঞ্চ প্রাঙ্গণে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিধায়ক বিনয়ভূষণ দাস।
সম্মিলিত বাহিনীর কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করে তিনি তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রজাতন্ত্র দিবসের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন৷ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীগণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পানিসাগর পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান কল্পনা দেবনাথ, পানিসাগর মহকুমার মহকুমা শাসক সুশান্ত দেববর্মা প্রমুখ।
কাঞ্চনপুর : কাঞ্চনপুর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন প্রাঙ্গণে মহকুমাভিত্তিক মূল অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিক জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিধায়ক ফিলিপ কুমার রিয়াং। তিনি আরক্ষা বাহিনী সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সমবেত কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে মহকুমার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এমডিসি স্বপ্না রাণী দাস, এমডিসি শৈলেন্দ্র নাথ, কাঞ্চনপুর মহকুমার মহকুমা শাসক ড. দীপক কুমার প্রমুখ। কুমারঘাট : কুমারঘাট মহকুমায় প্রজাতন্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠানটি হয় পূর্ত ময়দানে। বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাস আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে আরক্ষা বাহিনীর কুচকাওয়াজের অভিবাদন গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঊনকোটি জিলা পরিষদের সহ সভাধিপতি সন্তোষ ধর, কুমারঘাট পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন বিশ্বজিৎ শীল, কুমারঘাট পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান শংকর দেব, মহকুমা শাসক এন এস চাকমা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা দেশাত্মবোধক সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করে। সন্ধ্যায় গীতাঞ্জলি অডিটোরিয়ামে মহকুমার বিভিন্ন সংস্থার শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
তেলিয়ামুড়া : তেলিয়ামুড়া মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে মহকুমাভিত্তিক মূল অনুষ্ঠানটি হয় তেলিয়ামুড়ার দশমীঘাটস্থিত শহীদ ভগৎ সিং মিনি স্টেডিয়ামে। সেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে সম্মিলিত বাহিনীর কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন রাজ্য বিধানসভার সরকারি মুখ্য সচেতক কল্যাণী সাহা রায়। তিনি তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রজাতন্ত্র দিবসের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন। অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয় একটি বর্ণময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তেলিয়ামুড়া পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন রূপক সরকার, ভাইস চেয়ারপার্সন মধুসূদন রায়, মহকুমা শাসক পরিমল মজুমদার প্রমুখ।
কমলপুর : কমলপুর মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে কমলপুর দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয়ের মাঠে গতকাল ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের মূল অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিধায়ক মনোজ কান্তি দেব। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কমলপুর নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সন প্রশান্ত সিনহা, কমলপুর মহকুমার মহকুমা শাসক ডা. শরথ নায়েক ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীবৃন্দ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।
ছৈলেংটা : লংতরাইভ্যালি মহকুমায় প্রজাতন্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠানটি হয় ছৈলেংটা বাজার মাঠে। বিধায়ক শম্ভুলাল চাকমা অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং সম্মিলিত বাহিনীর কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এমডিসি সঞ্জয় দাস, মহকুমা শাসক উত্তম কুমার ভৌমিক প্রমুখ।
বিশালগড় : বিশালগড় মহকুমায় প্রজাতন্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠানটি হয় মহকুমা শাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে। সেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সম্মিলিত বাহিনীর কুচকাওয়াজের অভিবাদন গ্রহণ করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। তিনি তার সংক্ষিপ্ত ভাষণে প্রজাতন্ত্র দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে মহকুমার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থার শিল্পীগণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
\এছাড়া সন্ধ্যায় বিশালগড় টাউনহলে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে সিপাহীজলা জিলা পরিষদের সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত প্রজাতন্ত্র দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন৷ অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিসিএম অরূপ দত্ত। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশালগড় পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন অঞ্জন পুরকায়স্থ, বিশালগড় মহকুমার অতিরিক্ত মহকুমা শাসক দেবযানী চৌধুরী প্রমুখ।
সোনামুড়া : সোনামুড়া স্পোর্টিং অ্যাসোসিয়েশন মাঠে মহকুমাভিত্তিক প্রজাতন্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সোনামুড়া মহকুমার মহকুমা শাসক মহেন্দ্ৰ কাম্বে চাকমা। অনুষ্ঠানে মহকুমার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থার শিল্পীগণ এবং বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এমডিসি পদ্মলোচন ত্রিপুরা, সোনামুড়া নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সন সারদা চক্রবর্তী প্রমুখ।
অমরপুর : চন্ডিবাড়ি সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত মহকুমাভিত্তিক মূল অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিধায়ক রঞ্জিত দাস। তিনি তার ভাষণে দেশের স্বাধীনতার জন্য যারা আত্মবলিদান দিয়েছেন তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। অনুষ্ঠানে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। সন্ধ্যায় অমরপুর নতুন টাউনহলে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
করবুক : করবুক পাঞ্জিহাম উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিধায়ক সঞ্জয় মানিক ত্রিপুরা। তিনি সম্মিলিত বাহিনীর কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন করবুক বিএসির ভাইস চেয়ারম্যান প্রণব ত্রিপুরা, করবুক মহকুমার মহকুমা শাসক গমনজয় রিয়াং প্রমুখ। প্রজাতন্ত্র দিবসের অঙ্গ হিসেবে হিসেবে ভোরে পাঞ্জিহাম উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা করবুক বাজার এলাকায় প্রভাতফেরি বের করে।
শান্তিরবাজার : শান্তিরবাজার কলেজ মাঠে মহকুমাভিত্তিক প্রজাতন্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মহকুমা শাসক মনোজ কুমার পাল। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীগণ এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থার শিল্পীগণ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শান্তিরবাজার পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন স্বপ্না বৈদ্য, ভাইস চেয়ারপার্সন সত্যব্রত সাহা প্রমুখ। প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে মহকুমার কারা আবাসিকদের মধ্যে এবং হাসপাতালে ফল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
