অনলাইন ডেস্ক, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪: ন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়ণের মধ্য দিয়ে গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে সরকার কাজ করছে। মানুষের কল্যাণে রাজ্য সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়ণ করছে। আজ পূর্ব নলছড় দশমীঘাট মাঠে এক সভায় নতুন অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা এবং মেডিক্যাল টেস্টিং ভ্যানের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা।
এ উপলক্ষে আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জিলা পরিষদের সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, বিধায়ক কিশোর বর্মণ, সিপাহীজলা জেলার জেলাশাসক ডা. সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল, জেলার এসপি বি জে রেড্ডি, সোনামুড়ার মহকুমা শাসক রূপন দাস, নলছড় পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান রিনা দেবনাথ, সমাজসেবী দেবব্রত ভট্টাচার্য, শিবু পাল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নলছড় পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান স্বপন কুমার দাস। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাবনায় গ্রামীণ এলাকার বিকাশে বাস্তবসম্মত দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে কাজ করছে সরকার। গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সদর্থক বাস্তবায়ণে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ চলছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের জিএসডিপি অন্য অনেক রাজ্যের থেকে ভালো। এটি গ্রামীণ এলাকায় শক্তিশালী আর্থসামাজিক অবস্থারই দিক নির্দেশ করে। সুশাসনের স্বীকৃতি স্বরূপ রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই সম্মানিত হচ্ছে, পুরস্কার পাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ডাবল ইঞ্জিনের সুফল রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে প্রতিফলিত হচ্ছে। ডেন্টাল কলেজ, ৭টি সিন্থেটিক ফুটবল টার্ফ, ফোর লেন রাস্তা এইসব উন্নয়নেরই ফসল।
বিধায়ক কিশোর বর্মণ বলেন, নলছড় বিধানসভার সার্বিক উন্নয়নে কাজ চলছে। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের প্রকল্পের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের সরকারি সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এই লক্ষ্যেই নলছড় ব্লক এলাকার তিন হাজার সুবিধাভোগীকে একসঙ্গে সুবিধা প্রদানের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সুবিধা এবং পরিষেবার নথি সুবিধাভোগীদের হাতে তুলে দেন। অনুষ্ঠান মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী পিএমইজিপি প্রকল্পে একজনকে ৫০ লাখ টাকার চেক, ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশনে নীরমহল সিএলএফকে ২১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন।
এছাড়াও নলছড় সিএলএফকে শ্রেষ্ঠ সিএলএফ, প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের পক্ষ থেকে জন্মভূমি দুগ্ধ সমবায় সমিতিকে শ্রেষ্ঠ ডায়েরি রূপে পুরস্কৃত করা হয়৷ বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পে একটি এম্বুলেন্সের চাবি জুমেরঢেপা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ইনচার্জের হাতে তুলে দেন। এছাড়া একটি মেডিক্যাল টেস্টিং ভ্যান এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এই ভ্যানটি মেলাঘরস্থিত মহকুমা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অধীনে থাকবে। অতিথিগণ বিভিন্ন দপ্তরের সুসজ্জিত স্টল প্রদর্শন করেন এবং বিভিন্ন সুবিধাভোগীদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।