অনলাইন ডেস্ক, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৪: আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে রাজ্যের ভূ-গর্ভস্থ জলধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বন দপ্তর বনায়নের উপর গুরুত্ব দিয়েছে। রাজ্যের সংরক্ষিত বনাঞ্চলগুলির সার্ভের জন্য ড্রোনের সহায়তা নেওয়া হবে। যাতে যেসব স্থানে বনায়নের সুযোগ রয়েছে সেখানে প্রয়োজন অনুসারে বনায়ন করা সম্ভব হয়। আজ বিধানসভায় বিধায়ক শম্ভুলাল চাকমা আনীত একটি দৃষ্টি আকর্ষণী নোটিশের জবাবে একথা জানান বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা।
বিধানসভায় বনমন্ত্রী জানান, বন দপ্তর রাজ্যে বন আচ্ছাদন রক্ষা এবং বনগুলির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে অবহেলিত এলাকাসমূহের, রাস্তার ধারে, নদীর তীরে, রেলপথের পাশে বৃক্ষরোপণ করছে। তাছাড়া চেকড্যামও তৈরি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বন দপ্তর থেকে ৫৬, ১১০ হেক্টর বৃক্ষরোপণ, ১,৮৩৯ কিলোমিটার রাস্তার পাশে বৃক্ষরোপণ, ১২২৪.৫ কিলোমিটার নদীরে তীরে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। তাছাড়া ১,২৭৭টি চেকড্যাম তৈরি করা হয়েছে।
আইএসএফআর-২০২১-এর রিপোর্ট অনুযায়ী রাজ্যে বাঁশ গাছের এলাকা বেড়ে ৪,২০১ বর্গকিলোমিটার হয়েছে। বনমন্ত্রী আরও জানান, আগামী পাঁচ বছরে প্রতি বছর ৭,৫০০ হেক্টর বনভূমিতে বৃক্ষরোপণ, ২০০ কিলোমিটার রাস্তার পাশে বৃক্ষরোপণ এবং ৫০ কিলোমিটার নদীর তীরে বৃক্ষরোপণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বনাঞ্চল রক্ষায় আগামীদিনে টিএসআর জওয়ানদের যাতে যুক্ত করা যায় সেজন্য পদক্ষেপ ইতিমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে।