অনলাইন ডেস্ক, ১৮ জানুয়ারী, ২০২৫: দশ দফা দাবিতে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন, ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক এমপ্লয়ীজ ফেডারেশন, ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক অফিসার্স এসোসিয়েশন এবং ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক অফিসার্স ইউনিয়ন যৌথভাবে বিক্ষোভে সামিল হয় শনিবার। রাজধানীর অভয়নগর গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ব্যাংকের কর্মীরা তথা চারটি সংগঠনের সদস্যরা।
তাদের মধ্যে উপস্থিত সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অতনু ধর এবং ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক অফিসার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় দাস জানান, রাজ্যে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের ১৫০ টি শাখা রয়েছে। কিন্তু ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের পক্ষ থেকে গ্রাহকদের ঋণ প্রদানে অনেক জটিলতা রয়েছে। দেখা যায় গ্রাহকদের কমার্শিয়াল ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে গেলে যে ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সেগুলির মতই ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়।
এগুলির সম্মুখীন হতে হচ্ছে গ্রাহকদের। তাই এক্ষেত্রে যাতে সরলীকরণ করা হয়। নাহলে গ্রাহকরা ঋণ নিতে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকে যাবে না। তিনি আরো বলেন, ডি.আর.ডব্লিউ কর্মীদেরও বঞ্চনার করে চলেছে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তাদের ন্যূনতম মজুরি প্রদান করতে হবে। এছাড়াও গ্রামীণ এলাকার বহু শাখায় শৌচালয় নেই, মহিলা ব্যাংক কর্মীরা এতে বড় সমস্যায় পড়ে। একই সাথে বিদ্যুতিক পাখার অভাব।
এই ত্রুটিগুলি সমাধান না করে মডেল শাখার উদ্বোধন হয় আগরতলা শহরে। এছাড়াও বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে ত্রিপুরার গ্রামীণ ব্যাংকের। এই সমস্যাগুলি সমাধান করতে হবে তাদের। আরো অভিযোগ, অভয়নগর শাখার সামনে একটি ধর্না মঞ্চ করা হয়েছিল। যেহেতু রাজ্যের দূর দূরান্ত থেকে ধর্নায় অংশ নেবে তাই তাদের জন্য এই মঞ্চটি করা হয়েছিল। কিন্তু চেয়ারম্যান ধমকি দিয়ে এই মঞ্চ সরিয়ে দিয়েছেন বলে জানান তারা।
তারা আরো জানিয়েছেন আগামী ২৭ জানুয়ারি, ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি ব্যাংক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। তারপরেও যদি কর্তৃপক্ষ তাদের সাথে আলোচনার টেবিলে না বসে তাহলে আগামী ১৫ মার্চ থেকে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করবে বলে জানান। একই সাথে ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে বলেন সমস্যা সমাধান করার মানসিকতা নিয়ে আলোচনায় বসতে হবে। নাহলে তাদের দাবি পূরণ হবে না। সুতরাং দাবি পূরণ করার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে বলে জানান।