অনলাইন ডেস্ক, ১৮ জানুয়ারী, ২০২৫: সড়ক নিরাপত্তা, ভোক্তা সুরক্ষা ও নেশামুক্ত সমাজ গড়তে রাজ্যে জাগৃতি- ২০২৫ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এই লক্ষ্যে সড়ক নিরাপত্তা, ভোক্তা সুরক্ষা ও নেশামুক্ত সমাজ গড়ে তোলার উপর সচেতনতা বাড়াতে আন্তঃকলেজ ক্যুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। আজ কুমারঘাটের গীতাঞ্জলি অডিটোরিয়ামে জাগৃতি-২০২৫ কর্মসূচিতে আন্তঃকলেজ ক্যুইজ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করে খাদ্য ও পরিবহণমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে পরিবহণমন্ত্রী বলেন, যে তিনটি বিষয় নিয়ে ক্যুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তা আমাদের প্রত্যেকের জীবনের সাথে জড়িয়ে রয়েছে। এই বিষয়গুলি সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারলে সমাজ উপকৃত হবে। উল্লেখ্য, খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক এবং পরিবহণ দপ্তরের উদ্যোগে এই ক্যুইজ প্রতিযোগিতায় উত্তর, ঊনকোটি ও ধলাই জেলার ১৪টি কলেজের ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা বলেন, এ ধরনের ক্যুইজ প্রতিযোগিতা ছাত্রছাত্রীদের সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা নেবে।
একটা সমাজ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে নেশার বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। পাশাপাশি সচেতন ভোক্তা হিসেবে ভোক্তা সুরক্ষা আইন ও সড়ক নিরাপত্তার বিষয়গুলি সম্পর্কেও সম্যক ধারণা থাকতে হবে। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি তপশিলি জাতি কল্যাণমন্ত্রী সুধাংশু দাস বলেন, এ ধরনের ক্যুইজ প্রতিযোগিতা জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে সহায়তা করবে। তাছাড়া বক্তব্য রাখেন বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাস।
সভাপতিত্ব করেন ঊনকোটি জিলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবহণ দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব সুব্রত চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক ফিলিপ কুমার রিয়াৎ, বিধায়ক পল দাংশু, কুমারঘাট পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন বিশ্বজিৎ দাস, কুমারঘাট পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সুমতি দাস, অতিরিক্ত জেলাশাসক অর্থ সাহা, খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের অধিকর্তা সুমিত লোধ, মহকুমা শাসক এন এস চাকমা প্রমুখ। আন্তঃকলেজ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে কুমারঘাট শিক্ষক শিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ের নিশান্ত বিশ্বাস ও জ্যোতি মজুমদারের জুটি।
দ্বিতীয় হয়েছে ধর্মনগরের আর্যভট্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির তুষার দাস ও পৃথ্বীরাজ আচার্য জুটি এবং তৃতীয় স্থান দখল করেছে লংতরাইভ্যালি সরকারি মহাবিদ্যালয়ের ইটু দেওয়ান ও জয়শ্রী সরকারের জুটি। বিজয়ীরা রাজ্যভিত্তিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। প্রথম পুরস্কার হিসেবে দু’জন বিজয়ীকে স্মার্ট টিভি, দ্বিতীয় পুরস্কার দু’জন বিজয়ীকে মোবাইল ফোন ও তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে দু’জনকে স্মার্ট ওয়াচ দেওয়া হয়। এছাড়া দর্শকদের জন্য ওপেন ক্যুইজের মাধ্যমে আকর্ষণীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রতিটি জেলায় কলেজ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ১০০টি করে মোট ৩০০টি হেলমেট বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে ক্যুইজ মাস্টার ছিলেন অভিজিৎ ভট্টাচার্য, নন্দু পানিকর, মধুজা দেবনাথ ও শুভ্রজিৎ ভট্টাচার্য।