‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযান, সচিবালয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভা

অনলাইন ডেস্ক, ১লা অগাস্ট, ২০২৪: রাজ্যে আগামী ১৩ আগস্ট থেকে ১৫ আগস্ট, ২০২৪ ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযান অনুষ্ঠিত হবে। এই অভিযান কর্মসূচিকে সফল করতে আজ সচিবালয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহার সভাপতিত্বে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী, বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান সচিব সহ সচিব ও পদস্থ আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন। রাজ্যের আট জেলার জেলাশাসকও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই সভায় অংশ নেন। সভায় মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে এই বছরের ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযান সফল করতে সবাইকে আরও গুরুত্ব সহ এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২২ সালে দেশব্যাপী ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযান শুরু করেছিলেন। দেশ রক্ষায় যারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের প্রতি সম্মান জানানোর লক্ষেই এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রস্তুতি সভায় মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে যেসব জায়গায় অমৃত সরোবর রয়েছে, সেখানে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি উপলক্ষে অনুষ্ঠান আয়োজনের পরামর্শ দেন।

অনুরূপভাবে রাজ্যের অমৃত ভাটিকা, ‘৭৫ সীমান্ত গ্রাম ক্রান্তি বীরো কে নাম’ কর্মসূচির অধীনে সীমান্ত গ্রামগুলিতেও অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি উদযাপনের কথা তিনি ব্যক্ত করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচিতে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ছবি সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরা প্রয়োজন৷ এই কর্মসূচিতে সব স্তরের জনপ্রতিনিধিদের যুক্ত করার উপরও মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্ব আরোপ করেন।

এডিসি এলাকা সহ সর্বত্র ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি পালনের জন্যও মুখ্যমন্ত্রী সভায় গুরুত্ব আরোপ করেন। সভায় তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী রাজ্যে এবছর ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযান সফল করতে গৃহীত কর্মসূচি ও রূপরেখা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। তিনি জানান, ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযান 2022 সালে শুরু হয়েছিল।

এবছরও কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুসারে এই অভিযানের আয়োজন করা হচ্ছে। তিনি এই কর্মসূচিতে গত দু’বছর তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে জাতীয় পতাকা সরবরাহের তথ্য তুলে ধরেন। সভায় সচিব জানান, ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচিকে সফল করতে রাজ্যব্যাপী প্রচার অভিযানের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রিন্ট ইলেক্ট্রনিক, ওয়েব, সামাজিক মাধ্যম ও এলইডি স্ক্রীনের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনমূলক ভিডিও বার্তা প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সামাজিক মাধ্যম এবং এলইডি স্ক্রীনের মাধ্যমে অডিও ভিস্যুয়াল প্রচারও চালানো হবে। জেলা, মহকুমা, ব্লক, আগরতলা পুর নিগম সহ নগর শাসিত সংস্থাগুলির সদর কার্যালয়ে ব্যানার, স্ট্যানডিজ, হোর্ডিং লাগানোরও পরিকল্পনা দপ্তর থেকে নেওয়া হয়েছে৷ দেশপ্রেম চেতনাকে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে জাগ্রত করতে সমস্ত বিদ্যালয়গুলির প্রার্থনা সভায় এই কর্মসূচির বার্তা পৌঁছানোর কথা সভায় তুলে ধরা হয়।

অফিস প্রাঙ্গণগুলিতে নির্ধারিত দিন ও তারিখে এই কর্মসূচির বার্তা ও আবেদন পড়া হবে। এছাড়াও ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচিকে সফল করতে বিভিন্ন ক্লাব, সেচ্ছাসেবী সংস্থা, ব্যবসায়িক ও সামাজিক সংগঠনগুলি যুক্ত করা হবে। জেলা মহকুমা, ব্লক, আগরতলা পুর নিগম সহ নগরশাসিত সংস্থাগুলির হেড কোয়ার্টারে সেলফি পয়েন্ট তৈরি করা হবে। সভায় বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান সচিব, সচিবগণ রাজ্যে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে তাদের পরিকল্পনার কথা জানান৷ এই কর্মসূচিকে সফল করতে জেলা প্রশাসনও তাদের কর্মপরিকল্পনা সভায় অবহিত করেন।